দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে দেশ। সাধারণ মানুষের যেন ঘর থেকে বের হওয়াই দায়। প্রচণ্ড গরম ও দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নগরজীবন।

বৃহস্পতিবার মানুষ দিনের প্রথমভাগে কাজ শুরু করলেও তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তৎপরতা কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বনিম্ন ২৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকায় বাতাসের গতি ছিল ঘন্টায় ৬ কিলোমিটার।দিনের সকালে আর্দ্রতা ছিল ৬৮ শতাংশি, বিকেলে ছিল ৫৪ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়া প্রতিবেদনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বরিশালে সর্বনিম্ন ছিল ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এ ভ্যাপসা গরম পড়েছে। বৃষ্টি না হলে বায়ুমণ্ডল ঠাণ্ডা হবে না। বৃষ্টির পরেই তাপমাত্রা কমবে। আবহাওয়ার এ অবস্থা রবিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের সহকারি অধ্যাপক ডা. সরদার আতিক জানান, প্রচণ্ড তাপের কারণে শরীর থেকে লবণ বের হয়ে যায়। এ জন্য আক্রান্ত রোগীর খিঁচুনি হতে পারে। শেষ পর্যন্ত রোগী চেতনা হারাতে পারে। বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে এটা বেশি হতে পারে। এ জন্য যতটা সম্ভব রোদ থেকে দূরে থাকতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুলাই ১৯, ২০১৮)