মারধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ইকবাল খাঁন গুরুতর আহত হয়েছে। সে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজল খানের ছেলে।
জানা গেছে, বুধবার ফিন্যান্স বিভাগের তুচ্ছ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সালমানকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিভাগের সিনিয়র ইকবাল খাঁন। এতে একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ইকবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আসলে সালমানসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে বেড়ধক মারধর করে।
গুরুতর আহত ইকবালকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকরা তাকে কুমিল্লা মেডিকেলে স্থানান্তর করেন। এসময় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মাইনসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
আহতদের ভাষ্যে মারধরকারীরা হলো, কুবি শাখা ছাত্রলীগ কর্মী একাউন্টিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের রাফিউল আলম দীপ্ত, উপ সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মুনতাসির আহমেদ হৃদয়, উপ প্রচার সম্পাদক আইসিটি বিভাগের আহমেদ আলী বুখারী, উপ মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক লোক প্রশাসন বিভাগের এনায়েত উল্লাহ, শাখা ছাত্রলীগ সদস্য মোঃ মিরাজ খলিফাসহ আরো কিছু অজ্ঞাত নেতাকর্মী।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আসেনি। আর এটা বিভাগের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিভাগীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিচার হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। র্যাগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সিনিয়র জুনিয়রদের মাঝে ঝামেলা হয়েছে। ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আহত শিক্ষার্থী ইকবালের বাবা কাউন্সিলর আবুল ফজল খাঁন বলেন, আমি আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ ব্যাপারটা দেখবেন। সঠিক বিচার করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত দশজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘুরে ফিরে এই অভিযুক্তরাই বিভিন্ন সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করলেও উপযুক্ত কোন বিচার এখনো হয়নি। আমরা সবসময়ই আতঙ্কে থাকি।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন এর আগেও দলীয় শৃংখলাভঙ্গের দায়ে কিছু দিনের জন্য ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার ছিল।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ১৯,২০১৮)