শনিবার সকাল ১০টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের ১৬ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে এই অভিযান শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত চলছে।
দু‘দিন আগে গুপ্তধনের রহস্য উন্মোচন করতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ও আদালতের শরণাপন্ন হয় মিরপুর থানা পুলিশ।
জানা যায়, গত ১৪ জুলাই বাড়িটির বর্তমান মালিক দাবিদার মনিরুল আলম মিরপুর থানায় একটি জিডি করেন।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, তার বাসার মাটির নিচে গুপ্তধন (প্রচুর স্বর্ণালঙ্কার) রয়েছে বলে এলাকার লোকজনের মধ্যে জনশ্রুতি রয়েছে। এ কারণে বাড়িটির সামনে প্রতিদিন লোকজন ভিড় করছে।
এছাড়াও কক্সবাজারের টেকনাফ সদরের বাসিন্দা আবু তৈয়ব নামে এক ব্যক্তি ১০ জুলাই মিরপুর থানায় আরও একটি জিডি করেন। জিডিতে তিনি বলেন, মিরপুরের ওই বাড়ির মূল মালিক দিলশাদ খান। তিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তান চলে যান।
দিলশাদ খানের এক আত্মীয় তাকে তথ্য দেন, মিরপুরের ওই বাড়িটির নিচে দুই মণের বেশি স্বর্ণালঙ্কার ও দামি জিনিসপত্র রয়েছে।
ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ারউজ্জামান বলেন, সকাল ১০টা থেকে এখানে মাটি খননের কাজ চলছে। বাড়ির ভেতরে দুটি রুমে খননের কাজ চলছে। ৮-১০ ফুট খননের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, তিনি কয়েক বছর আগে জায়গাটি কিনে একতলা বাড়িটি নির্মাণ করেন। কিন্তু সম্প্রতি কিছু ব্যক্তি এসে দাবি করেন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এখানে তাদের আত্মীয়রা বাস করতেন। তারা সেসময় বাড়ির এই জায়গায় মাটি খুঁড়ে দুই মণ সোনা পুঁতে রেখে যান। ওই সোনা তুলে নিতে তারা বাড়ির আবু তৈয়বের ওপর চাপ সৃষ্টি করায় তিনি থানায় সংবাদ দিয়ে ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করার অনুরোধ করেন। এর পরেই আজ এই অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন ও পুলিশ।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, স্বর্ণালঙ্কার সহ মূল্যবান বস্তু রয়েছে এ মর্মে দুই ব্যক্তির জিডির (সাধারণ ডায়েরি) পরিপ্রক্ষিতে এ খনন কাজ চলছে। খনন কাজ শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
গুপ্তধনের খোঁজে মিরপুরে বাড়ি খনন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গুপ্তধনের খোঁজে রাজধানীর মিরপুরের একটি বাড়িতে খনন শুরু হয়েছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে চলছে এ খনন কাজ।