দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে এক লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় খনির শীর্ষ চার কর্মকর্তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।

ঘটনা তদন্তে পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা যায়, খনির মাইনিং বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত জিএম এটিএম নুরুজ্জামান চৌধুরী ও ডিজিএম মো. খাদেমুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এমডি প্রকৌশলী মো. হাবিব উদ্দিন আহমেদ ও সচিব (জিএম প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

খনির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, কর্তব্যে অবহেলার কারণে এবং কয়লা খনির উৎপাদিত কয়লা মজুদ না রেখে বিক্রি করে দেয়ায় ১৯ জুলাই পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ এক আদেশে তাদেরকে এই শাস্তি দেয়।

একই দিনে পেট্রোবাংলার (জিএম প্রশাসন) মো. মাজেদুর রহমানের সই করা এক আদেশে পেট্রোবাংলার (জিএম প্লানিং) মো. আইয়ুব আলী খান চৌধুরীকে খনির ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

শনিবার সরেজমিনে খনি পরিদর্শনে দেখা গেছে, কয়লা সংকটের কারণে ইতোমধ্যে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তিনটি ইউনিটের মধ্যে দুইটি বন্ধ এবং একটির উৎপাদন মাত্র ১৪০ মেগাওয়াট। কয়লার অভাবে এই ইউনিটের উৎপাদনও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে দেখা দিতে পারে ভয়াবহ লোডশেডিং।

বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ২০ জুন সমন্বয় সভায় বড়পুকুরিয়া খনি কতৃপক্ষ এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদের হিসাব দেয়। তার ভিত্তিতেই পরিকল্পনা প্রণয়ন করি আমরা। কিন্তু কয়লা সঙ্কটের কবলে পড়ে এখন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন চালু রাখা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুলাই ২২, ২০১৮)