দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জেলা প্রশাসকদের ঔপনিবেশিক মানসিকতা পরিহার করে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। উন্নয়নের জন্য গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে, যেন পিছিয়ে না পড়ে দেশ।

মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৮’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও মাদক বন্ধে কোন দল দেখবেন না। কেউ যদি বাধা দেয় তাহলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আপনারা জনগণের সেবক। জনগণের পয়সায় আপনাদের বেতন হয়। তাদের জন্য কাজ করবেন। একটি সরকার টানা দুইবার দায়িত্ব পালন করলে দেশের যে উন্নয়ন হয় আওয়ামী লীগ সরকার তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।

ডিসিরে উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, কমিউনিটি ক্লিনিক, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের দেশে ছোট ছোট জমি চাষ করার চাইতে কিভাবে জমি বড় করে সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদ করা যায় তা দেখতে হবে। এছাড়া কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এটা হলে বাংলাদেশের কৃষিপণ্য যেমন বিদেশে মার্কেট পাবে তেমনি দেশেও বিক্রি করতে পারবো।

শেখ হাসিনা বলেন, বাজেটের টাকায় উন্নয়নকাজ চলছে। সরকারের এসব উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে তদারকি করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সম্পদ কাজে লাগিয়ে দারিদ্র্যকে জয় করতে হবে। তৃণমূলে মানুষের সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী কৌশল কাজে লাগাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দুই মেয়াদ পূর্ণ করায় দেশের গতিশীল উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা এবার ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট দিতে পেরেছি। এখন আমাদের ভিক্ষা চাইতে হয় না, কারও সাহায্য চাইতে হয় না।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ইনফ্লেশন কমিয়ে এনেছি। ইনফ্লেশন নিয়ন্ত্রণে থাকলে এবং প্রবৃদ্ধি বাড়লে দরিদ্র মানুষ এর সুফল ভোগ করতে পারে।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকরা ছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সরকারি কাজ বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আইনি সুরক্ষাসহ আরও বেশ কিছু জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্মেলনে আলোচনা করা হবে। এ ছাড়া চলমান মাদকবিরোধী অভিযানসহ বন্যা, বাঁধভাঙা ও পাহাড়ধস নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হবে। উদ্বোধনী দিনে ডিসিরা বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনার সুযোগ পাবেন।

এবারের সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কিত ডিসিদের ৩৪৭টি প্রস্তাব থাকছে। ডিসিদের বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে শুনবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ ছাড়া প্রশাসনকে গতিশীল করতে ও তৎপরতা বাড়াতে তিনি ডিসিদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেবেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ২৪, ২০১৮)