দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্রদের উন্নয়নে ৭৭.৭৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ)। প্রতিষ্ঠানটির ৩০টি সহযোগী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে হতদরিদ্রদের মাঝে এ অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়। এ যাবৎ ১ হাজার ১২০টি সহযোগী সংস্থার মধ্যে সর্বমোট ১২৫.২০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের কনফারেন্স রুমে ২২১তম প্রশিক্ষণ, অনুদান প্রদান ও পর্যালোচনা সভা আয়োজন করে। সভায় ৮টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে এ অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সদর আলী বিশ্বাস, কর্মকর্তাবৃন্দ ও ৩০টি সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, কর্মসূচি গ্রহণের সময় এলাকার সার্বিক বিষয়াবলী এসেসমেন্ট করতে হবে। যেমন, কোন কর্মসূচি বাস্তবায়নযোগ্য, কোনটি ফলপ্রসূ হবে কোনটি হবে না, কোথায় যেয়ে ও কিভাবে শেষ হবে, কিলার থ্রেট, ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় আনতে হবে। কিছু কিছু কর্মসূচি আছে যতই গ্রহণ করা হোক না কেন তার চাহিদা কোন দিনও কমবে না। যেমন- ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালন। এ ধরনের কর্মসূচি বেশি বেশি গ্রহণ করা যেতে পারে। আবার কিছু কিছু কর্মসূচি আছে যেগুলি বেশি গ্রহণ করলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তেমন কোন ভূমিকা রাখে না সে ধরনের কর্মসূচি গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন সেলাই মেশিন বিতরণ। হাওড় এলাকায় দারিদ্র্য বিমোচন খুব কঠিন কাজ। দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে হাওড় এলকাকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। হাওড় এলাকায় যদি ভেড়া পালন করা যায় তাহলে এটা একটি ভালো কর্মসূচি হবে। এনজিও করা একটি মিশন, এ মিশনের লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচন।

অনুষ্ঠানের এনজিও ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সদর আলী বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন হতদরিদ্রদের উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফাউন্ডেশন সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীন একটি স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকারের অর্থে দেশের জাতীয় পর্যায়ে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে কর্মরত এনজিওসমূহের মধ্যে অনুদান প্রদান করে থাকে।

এ অনুদানের অর্থে সহযোগী সংস্থাসমূহ নলকূপ স্থাপন, গাভী ও ছাগল বিতরণ, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ও পুনর্বাসন, শীতলপাটি তৈরিতে সহায়তা, সেলাই প্রশিক্ষণ ও মেশিন বিতরণ, পাট ও চটের পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ভ্যানগাড়ি বিতরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, টার্কি পালন, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রশিক্ষণ, মানবাধিকার সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ, সহজ ইংরেজি শিক্ষা, তাঁত শিল্পে সহায়তা, বাঁশ-বেতের প্রশিক্ষণ ও উপকরণ বিতরণ, ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ এপ্রিল ১৯, ২০১৮)