আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও গোপালদী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে আড়াইহাজার পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ মো. সুন্দর আলী এবং গোপালদী পৌরসভায় আলহাজ এম এ হালিম সিকদার মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার রাতে এই দুই পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার ফয়সল কাদের ও মো. শফিকুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।

ঘোষিত ফলাফলে আড়াইহাজার পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ মো. সুন্দর আলী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী পারভীন আক্তার ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৩১৪ ভোট। এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৭৫৭ জন।

গোপালদী পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ এম এ হালিম সিকদার নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৮২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মুসফিকুর রহমান মিলন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৬৩ ভোট। এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৩৮২ জন।

এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ দুই পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচন উপলক্ষে পৌর এলাকায় এদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়।

দুইটি পৌরসভায় মেয়র পদে চারজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ভোট চলাকালে সকাল ১১টার দিকে আড়াইহাজারে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী পারভীন আক্তার ও গোপালদীতে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মুসফিকুর রহমান মিলন ভোট কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি রিটানিং অফিসারের কাছে অভিযোগও দাখিল করেন তারা।

তবে বিএনপির প্রার্থীদের অভিযোগ নাকচ করে রিটার্নিং অফিসার ফয়সল কাদের ও মো. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, বৃষ্টি উপেক্ষা করেও ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসছেন। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে দুটি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ চলেছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার আফরোজা খাতুন জানান, দুইটি পৌরসভার ২০টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে ২০ জন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে ১৪৭ জন ও পোলিং অফিসার হিসেবে ২৪১ জন দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজস্ট্রেট ছাড়াও র্যা ব পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ছয় শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ নজরুল ইসলাম বাবু নবনির্বাচিত পৌর মেয়র আলহাজ মো. সুন্দর আলী ও আলহাজ এম এ হালিম সিকদারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ জুলাই ২৫,২০১৮)