দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টসানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় গ্রেফতার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার মামলার চার্জশিটে নাম না থাকায় জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী হাসিবুর রশীদ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ফাহাদ বিন আমীন চৌধুরী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

গুলশান থানার আদালতের নিবন্ধন কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, চার্জশিটে নাম না থাকায় তিনি এ মামলায় জামিন পাবেন।

এজন্য তাকে মামলার বিচার সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাস বিরোধ দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে জামিন নিতে হবে। চার্জশিট আসার পর জামিন শুনানির এখতিয়ার নেই মহানগর হাকিম আদালতের।

মামলাটি বিচারের জন্য বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ হাকিম আদালত।

এর আগে ২৩ জুলাই বিকেলে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এর আগে সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এতে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

ওই ঘটনার তদন্তে ২১ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। তাদের মধ্যে ১৩ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছেন। বাকি আটজনকে চার্জশিটে সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে এখন ৬ জন কারাগারে রয়েছেন। আর দুজন পলাতক।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ দেশি-বিদেশি ২২ নাগরিক প্রাণ হারান। তাদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি, একজন ভারতীয়, নয়জন ইতালীয় এবং সাতজন জাপানি নাগরিক।

প্রায় ১২ ঘণ্টার ওই ‘জিম্মি সংকট’ শেষ হয় সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযান ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ দিয়ে।

অভিযানে পাঁচ জঙ্গি ও রেস্টুরেন্টের বাবুর্চি সাইফুল ইসলাম চৌকিদার নিহত হন। নিহত জঙ্গিরা হলেন- নিবরাস ইসলাম, মীর সামিহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশ।

ওই ঘটনার পরই দেশব্যাপী জঙ্গিবিরোধী অভিযান জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসব অভিযানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় সরাসরি জড়িত হিসেবে চিহ্নিত ২১ জনের মধ্যে বিভিন্ন সময় ১৩ জন নিহত হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুলাই ২৬, ২০১৮)