যুদ্ধাপরাধী কুদ্দুসকে বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ক্যান্সারে আক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত নোয়াখালীর সুধারামের আব্দুল কুদ্দুসকে কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
একইসঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবারের (৩ আগস্ট) মধ্যে ওই হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকদের আব্দুল কুদ্দুসের অসুস্থতা নিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওই দিন তার জামিন বিষয়ে আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ।
রবিবার (২৯ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে কুদ্দুসের জামিনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আদেশের আগে অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, ‘আমি আইজি প্রিজন্সের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, আব্দুল কুদ্দুস ক্যান্সারে আক্রান্ত ঠিক। তবে তার অবস্থা ততটা গুরুতর নয়। তিনি কথা বলতে পারছেন।’ পরে আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন।
এর আগে আপিল বিভাগে জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কার্য তালিকার ৮ নম্বরে ছিল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এই প্রথম কোনো আসামির জামিন আবেদন করা হয়েছে কোর্টের আপিল বিভাগে।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানান, এর আগে এই আসামির আপিল আবেদন করা হয়। আপিলের সঙ্গে তার জামিন আবেদনও করা হয়। কিন্তু এর আগে আর কোনো আসামির জামিন আবেদন করা হয়নি। এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামির মামলায় আপিল বিভাগে জামিন চাওয়া হয়েছে।
গত ১৩ মার্চ এই মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এদের মধ্যে আমির আলী, মো. জয়নাল আবদিন ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুরের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে। একই মামলায় অপর আসামি মো. আব্দুল কুদ্দুসের হয়েছে ২০ বছরের কারাদণ্ড।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ২৯, ২০১৮)