রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। জনগণের যে কোনো রায় আমি মাথা পেতে নেব। নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। এভাবে ভোটগ্রহণ চললে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।

সোমবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপশহর স্যাটেলাইট হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোটপ্রদান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ভোটগ্রহণ শুরুর পরই বিরোধী প্রার্থীর অভিযোগ শুরু হয়েছে। আশা করছি জনগণ আমাকে নির্বাচিত করবেন। তবে ভোটের পরিবেশ যেন নষ্ট না হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কেন তাদেরকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তা প্রিসাইডিং অফিসারে কাছে জানতে অনুরোধ জানান।

সোমবার (৩০ জুলাই) সকাল নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপশহর স্যাটেলাইট হাইস্কুল কেন্দ্রের ভোটার তিনি। তবে তিনি এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোট দেননি।

ধানের শীষের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট তোফাজ্জল হোসেন অভিযোগ করেন, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সিরোইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে, বিল সিমলা এলাকায় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স কেন্দ্রসহ অনেক কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থীর এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সকল এজেন্টরা কেন্দ্রে পৌঁছেছেন। কিন্তু তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমি এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এখানে অপেক্ষা করছি ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে মিনতি করছি—আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হোক। তিনি তাঁদের ঢুকতে দিচ্ছেন না।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬০ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৫২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সিটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।

এর বাইরে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সিটিতে আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের মধ্যে মূল লড়াই হবে বলে জানা গেছে।

৩০টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন, যার মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ ও নারী এক লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ৩০, ২০১৮)