জাবালে নূর পরিবহনের ২ চালক ও ২ হেলপার গ্রেফতার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের বেপরোয়া বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জাবালে নূরের তিন গাড়ির দুই চালক ও দুই হেলপারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
রবিবার (২৯ জুলাই) রাত ও সোমবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান গণমাধ্যমকে জানান, ‘গ্রেফতারকৃতদের এখন জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত তথ্য পেলে পরে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গত, রবিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতি সম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিমিষেই ওঠে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর। চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুইজন। এছাড়া আহত হন আরও ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী।
দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া দুইজন হলেন শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহত দিয়া খানম মীমের বাবার নাম জাহাঙ্গীর আলম। তাদের বাড়ি মহাখালী দক্ষিণপাড়ায়। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিমের বাবার নাম মৃত নূর ইসলাম ও মা মহিমা বেগম। তাদের বাড়ি উত্তরা আশকোনা এলাকায়।
দুর্ঘটনার পর রাস্তা অবরোধ করে অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা ও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এ সময় কয়েকটি বাসে আগুনও ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে ট্রাফিক ও ক্রাইম ডিভিশনের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
এদিকে ওই ঘটনায় রোববার রাতেই নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৩৩।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ৩০, ২০১৮)