কয়লা কেলেঙ্কারি: অভিযুক্ত ২১ জনের বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা তদন্তের স্বার্থে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির (বিসিএমসিএল) মোট ২১ জনের বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এর আগে কোম্পানির সাবেক এমডিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার পুলিশের ইমিগ্রেশন শাখা থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এদিনই পুলিশের ইমিগ্রেশন শাখা থেকে বিমান ও স্থলবন্দরগুলোতে ২১ জনের বিদেশ যেতে ওই নিষেধাজ্ঞার আদেশটি পাঠানো হয়। এদের অধিকাংশ কয়লা দুর্নীতি মামলার আসামি।
চিঠিতে বলা হয়, পরস্পর যোগসাজসে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা অবৈধভাবে বিক্রি করে ২৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে ওই ২১ জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা স্বপরিবারে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। মামলাটির অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা আবশ্যক।
এদিকে বিসিএমসিএলের সাবেক এমডি এসএম নুরুল আওরঙ্গজেবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে তলব করা হয়েছে। তাকে আগামী বুধবার সকাল ১০ টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। শিগগির তিনি হজের উদ্দেশে সৌদি আরব যাবার কথা। এর আগেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় দুদক।
গত ২৪ জুলাই কয়লা ঘাটতির অভিযোগে সদ্য সরিয়ে দেওয়া বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির (বিসিএমসিএল) এমডি হাবিব উদ্দিন আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট ১৯ জনকে আসামি করে দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারির তালিকায় মামলার ওই ১৯ আসামি রয়েছেন।
নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ২১ কর্মকর্তা হলেন- সাবেক এমডি হাবিব উদ্দিন আহমেদ, সাবেক এমডি মো. আমিনুজ্জামান, মো. কামরুজ্জামান, বর্তমান মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তাহের মো. নূর-উজ-জামান চৌধুরী, উপমহাব্যবস্থাপক (স্টোর) একেএম খালেদুল ইসলাম, উপ মহাব্যবস্থাপক (মাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) মো. জোবায়ের আলী, সদ্য বিদায়ী কোম্পানি সচিব আবুল কাশেম প্রধানীয়া, বর্তমান উপব্যবস্থাপক (সেফটি ম্যানেজমেন্ট) একরামুল হক, উপব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মুহাম্মদ খলিলুর রহমান, উপব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন) মো. মোরশেদুজ্জামান, উপব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) হাবিবুর রহমান, উপব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট) জাহেদুর রহমান, উপব্যবস্থাপক (ভেন্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সত্যেন্দ্রনাথ বর্মণ, ব্যবস্থাপক (এক্সপ্লোরেশন) মোশাররফ হোসেন সরকার, ব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিসেস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার, ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) অশোক কুমার হালদার, ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) আরিফুর রহমান, ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কন্সট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) জাহিদুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক সৈয়দ ইমাম হাসান, ব্যবস্থাপক (ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাইন্টস) গোপাল চন্দ্র সাহা ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাইন্টস) আব্দুল মান্নান পাটোয়ারি।
সোমবার দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ শাখা থেকে উপ পরিচালক সামছুল আলমকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পেয়েই এই কর্মকর্তা তদন্তের কাজ শুরু করেছেন। দুদকের এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে তদন্ত শেষ করে শিগগির প্রতিবেদন কমিশনে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএ/জুলাই ৩০,২০১৮)