দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মুখে থাকা আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের আগাম জামিন আবেদন খারজি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) জামিন সংক্রান্ত রুল শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ড. কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এই আদেশের ফলে বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের পক্ষে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

এর আগে ২৩ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মুখে থাকা আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনকে আগাম জামিন দিয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ করা হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য ৩১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। এর আগে দুর্নীতি দমন কমশিন (দুদক) বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনে। যদিও তার বিরুদ্ধে নিয়মিত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।

খুরশীদ আলম খান জানান, ওনার (বিচারপতি জয়নুল আবেদীন) বিরুদ্ধে রেগুলার কোনো মামলা নেই। মামলা না থাকলে জামিন কীভাবে হয়? এসব বিষয় সামনে নিয়ে শুনানি শেষ করা হয়।

২০১০ সালের ১৮ জুলাই সম্পদের হিসাব চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনকে নোটিস দেয় দুদক। পরে দুদকের দেয়া নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি একই সালের ২৫ জুলাই হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। পরবর্তীতে রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয়ে যায়।

২০১০ সালের ২৫ অক্টোবর তাকে আরও একটি নোটিস দেয় দুদক। ৩ নভেম্বর তিনি এ বিষয়ে তথ্য জমা দেন। দীর্ঘদিন পর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তার কাছে ব্যাখ্যা চায় দুদক। পরে তিনি ব্যাখ্যাও দেন।

ওই বছরের জুনে একটি পত্রিকায় ওই বিচারপতির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতার ও হয়রানির আশঙ্কা থেকে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। ২০১৭ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট তাকে এ অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন এবং রুল জারি করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ৩১, ২০১৮)