বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন উদ্বোধন
মুজিব থেকে সজীব-এ পৌঁছে গেছি : প্রধানমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করে গেছেন। আর সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে আমরা মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছি। আমরা মুজিব থেকে সজীব-এ পৌঁছে গেছি। মানুষ এ ভূ-উপগ্রহ থেকে সেবা পাবে- এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের গাজীপুর এবং বেতবুনিয়া গ্রাউন্ড স্টেশন দুটি সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে নামকরণের ঘোষণাকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলছি, কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে দেশের মানুষের সেবা করাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে এটা একটা সেক্টর হয়ে গেল। এই সেক্টরের মাধ্যমে আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা এক্সপার্ট হবে। সমুদ্রবিজ্ঞান নিয়েও লেখাপড়া করবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী অতি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘আমরাও একদিন চাঁদের দেশে পৌঁছে যাব। বিমানবাহিনীকে বলব-এ ব্যাপারে আপনারা ট্রেনিং শুরু করেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল- এ দেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত। মানুষ ভালোভাবে বসবাস করবে, ভালোভাবে চলাফেরা করবে। মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। আমার ব্যক্তিগতভাবে চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। দেশের মানুষের সেবা করতে পারলে আমি খুশি। মানুষের জন্য কাজ করছি। মানুষ ভালো আছে। আমি জানি না আমার বাবা-মা দেখতে পারছেন কি না, বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এর গতিধারা যেন অব্যাহত থাকে। বাংলাদেশে এখন ৯ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। দেশে এখন ১৩ কোটি সিম ব্যবহার হচ্ছে। ভবিষ্যতে এর চাহিদা আরও বাড়বে।’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ শীর্ষক অডিও ভিজুয়াল প্রদর্শন করা হয়। এরপর লেজার শো পরিবেশিত হয়। এছাড়া গাজীপুর ও বেতবুনিয়ার ভূ-উপগ্রহের ওপর সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ৩১, ২০১৮)