‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন জেলায় নিহত তিন
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : রাজধানীর কেরানীগঞ্জ, নাটোর ও রাজশাহী এই তিন জেলায় র্যাবের সঙ্গে তথকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) দিবাগত এসব ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
র্যাবের দাবি, নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী।
কেরানীগঞ্জ : রাজধানীর কেরানীগঞ্জের আটি এলাকায় র্যাব-২ এর সঙ্গে তথাকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন (৪০) নিহত হয়েছেন। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাত আড়াইটার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢামেকে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা আছে।
নাটোর : নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কাবিল হোসেন (৪৫) নামে এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই র্যাব সদস্য।
মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) দিনগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে উপজেলার মহিষভাঙ্গা এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
কাবিল উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের মৃত শহিদুল্লাহ ওরফে শহিদুলের ছেলে। আহত দুই র্যাব সদস্যের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
র্যাব-৫, নাটোর ক্যাম্পের স্কোয়ার্ড কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, রাতে র্যাবের একটি টহল দল বড়াইগ্রামের মহিষভাঙ্গা এলাকায় সড়কে টহল দিচ্ছিল। এ সময় একটি মোটরসাইকেল দ্রুতগতিতে চলে যায়। তাকে গতিরোধ করার চেষ্টা করা হয়। একই সময়ে ওই এলাকার মহিষভাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে কিছু লোকের আনাগোনা দেখা যায়। এ সময় তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে টহল দল ওই স্থানের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। একপর্যায়ে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হলে তারা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়ের পর ঘটনাস্থলে অজ্ঞাতনামা একজনকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাকিরা পালিয়ে যান। এ সময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হন। পরে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আর আহত দুই র্যাব সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলির খোসা, ২৮০ পিস ইয়াবা ও দু’টি টর্চ লাইট উদ্ধার করা হয়।
পরে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস নিহত ব্যক্তির নাম কাবিল হোসেন নিশ্চিত করেন। একই সঙ্গে জানান, তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক সংক্রান্ত ১৩টি মামলা রয়েছে। জেলার অন্যতম শীর্ষ মাদক বিক্রেতা হিসেবেও তার পরিচিত রয়েছে।
রাজশাহী : রাজশাহীর বেলপুকুর থানার তাড়াশ এলাকায় (র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আব্দুর রশিদ (৪৫) নামে এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় ফেনসিডিল, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) দিনগত রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব-৫ রাজশাহীর উপ-অধিনায়ক মেজর এএফএম আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে তারাশ এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে নামে র্যাব। এ সময় মাদক বিক্রেতারা টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই অজ্ঞাতপরিচয় এক মাদক বিক্রেতার মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তার নাম আব্দুর রশিদ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক, চোরাচালানসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। তিনি রাজশাহীর একজন চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা।
তিনি আরও জানান, এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন, দুই রাউন্ড গুলি, ৫৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জন র্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ০১, ২০১৮)