দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাসচাপায় শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মিম ও আব্দুল করিমের নিহতের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রিটকারী আইনজীবী বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করলে বুধবার (১ আগস্ট) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যরা হলেন-বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর মিজানুর রহমান, প্রফেসর মো. হাদিউজ্জামান ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ার‌ম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।

এই কমিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, দুর্ঘটনার জন্য কার কতটুকু দায় তা নিরূপণ করবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কাজল।

আদেশের পরে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, তিতুমীর কলেজের ছাত্র দুর্ঘটনায় হাত হারানোর পর মারা যাওয়া রাজীবের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিকেই দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। এই কমিটির দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

এর আগে গত ৩০ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় নিহত শিক্ষার্থী নিহত দিয়া আক্তার মিম ও আব্দুল করিমের পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে বাস জাবালে নূরের মালিককে এই টাকা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বাসচাপায় আহতদের চিকিৎসার সকল ব্যয় বহন করতে জাবালে নূরের মালিক ও বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া রুলে নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে দুই কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে যাত্রী সাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এ ছাড়া কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে বিআরটিএ বাস-ট্রাক চালকদের লাইসেন্স প্রদান করে রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী মিম ও আব্দুল করিম নিহত হন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ০১, ২০১৮)