ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক আর নেই
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক :বিশিষ্ট সাংবাদিক, ইংরেজি দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক এ এইচ এম মোয়াজ্জেম হোসেন আর নেই। আজ বুধবার বিকেল সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
কয়েক সপ্তাহ ধরে মোয়াজ্জেম হোসেন নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। কয়েকদিন আগে তিনি স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও কন্যা, বন্ধু-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের অতিরিক্ত বার্তা সম্পাদক আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, এ এইচ এম মোয়াজ্জেম হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমণজনিত রোগে ভুগছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য কিছুদিন আগে তিনি সিঙ্গাপুরেও গিয়েছিলেন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর তাঁকে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সকাল ১০টায় তার নিজ বাসার সামনে প্রথম জানাজা এবং বেলা ১১টায় তাঁর অফিসে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মোয়াজ্জেম হোসেন ইংরেজি দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রকাশকও ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ইন্টারন্যাশনাল পাবলিকেশনস লিমিটেডের (আইপিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
প্রবীণ এ সাংবাদিক ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক করেন। পরের বছর একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন। অধুনালুপ্ত ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ অবজারবারে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি দ্য নিউ নেশন, ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি), দ্য ঢাকা কুরিয়ার ও ডেইলি স্টারেও কাজ করেন।
স্নাতকোত্তর শেষে তিনি তৎকালীন পাকিস্তানে হাবিব ব্যাংক লিমিটেডের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিভাগে যোগ দেন। ইসলামাবাদে পাকিস্তান সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়েও তিনি কাজ করেছেন।
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে প্রবীণ এ সাংবাদিক ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
১৯৯৫ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রবীণ এ সাংবাদিক প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস)পরিচালনা পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি জনতা ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়াত্ত কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদেরও সদস্য ছিলেন। সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের স্বতন্ত্র পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি আইসিবি, বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/একেএমএম/আগস্ট ০১, ২০১৮)