দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে পরিবহন সেক্টরের বিশৃঙ্খলার উসকানিদাতা হিসেবে অভিহিত করে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে উদ্ভূত সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, 'নৌমন্ত্রী শাজাহান খান পরিবহন সেক্টরের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তার আশকারায় দীর্ঘদিন ধরে এই সেক্টরে অরাজকতা লেগেই আছে। কিছু প্রশিক্ষণহীন অদক্ষ চালক ও লাইসেন্সবিহীন চালক এবং চলাচলে অনুপযুক্ত যানবাহনের প্রাধান্য থাকলে সড়ক-মহাসড়কে মরণঘাতী ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তেই থাকবে। আর এগুলো প্রাধান্য পাচ্ছে শুধু নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের প্রশ্রয়ে।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে বর্তমান সরকার সকল ক্ষেত্রে সীমাহীন ব্যর্থতায় পর্যবসিত। সরকারের সামগ্রিক ব্যর্থতার জন্যই সব ক্ষেত্রে অধঃপতন শুরু হয়েছে। ভোগ-লালসায় মত্ত ক্ষমতাসীনরা মানবিক বিবেচনাগুলো পদদলিত করছে। তাদের প্রশ্রয়ে দুষ্কৃতকারীদের দাপট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এই দেশে এখন মানুষের জীবন-জীবিকা চরমভাবে নিরাপত্তাহীন। মানুষের ক্ষোভের আঁচ উপলব্ধি করতে পারে না বলেই সরকার গণবিরোধী বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে পড়েছে।'

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'কোমলমতি কিশোর-কিশোরী ছাত্র-ছাত্রীদেরও জীবন ঝরে পড়াটাও দুঃশাসনের ফলশ্রুতি। শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হওয়ার পর যখন সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ বেদনার্ত, শোকাহত ও ক্ষুব্ধ, তখন ছাত্রছাত্রীর লাশ নিয়ে নৌমন্ত্রীর হাসি যেন বিদ্রুপের হাসি।'

মির্জা ফখরুল বলেন, 'দুই শিক্ষার্থীর হৃদয়বিদারক মৃত্যুতে দেশজুড়ে মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়লেও তাতে সরকারের বিন্দুমাত্র টনক নড়েনি। বরং আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের লক্ষ্য করে গুলি, টিয়ার গ্যাস ও বেধড়ক লাঠিচার্জে যেভাবে ক্ষতবিক্ষত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তা কেবল নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকদের দ্বারাই সম্ভব। ন্যায়বিচার না পাওয়া, বঞ্চিত, প্রতিবাদী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে হিংস্র আক্রমণে আহত করার পর অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।'

'শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারের এই অমানবিক আক্রমণের' তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি অবিলম্বে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি করেন।

এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে দায়ী চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/আগস্ট ০১,২০১৮)