দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পরিবহন শ্রমিক নেতা ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর অপসারণ দাবি করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটির মতে, দেশের বিদ্যমান দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবহন খাতের সঙ্গে এই দুই মন্ত্রীর ব্যক্তি স্বার্থ সংঘাতমূলক।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত বাংলাদেশে বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর স্বচ্ছতা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনের সময় ইফতেখারুজ্জামান এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আমরা দুই ব্যক্তিকে মন্ত্রীর পদ থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানাচ্ছি। আমরা পরিবহন খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা চাই।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রতি টিআইবির পুরোপুরি সমর্থন রয়েছে।

শাজাহান খান নৌমন্ত্রীর পাশাপাশি বাংলাদেশে শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্বেও আছেন। আর পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতির পদে রয়েছেন।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমন দৃষ্টান্ত খুবই কম যে- একই ব্যক্তি শ্রমিক ইউনিয়ন, মালিক ইউনিয়নের প্রধানের পাশাপাশি মন্ত্রীর দায়িত্বেও থাকেন। এটি দেশে নতুন ঘটনা নয়, দীর্ঘদিন ধরেই এটি চলছে। যার ফলে অরাজকতার জন্য যারা দায়ি তাদের সুরক্ষা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের জন্য গত কয়েকদিন ধরে চলা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সাংবিধানিক অধিকার চর্চার আন্দোলন। এ আন্দোলনের প্রতি আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন। এটি কোনো রাজনৈতিক বিষয় না। যেভাবে সরকার সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি অবজ্ঞা করেছে, সেটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার অবজ্ঞার শামিল।

পরিবহন খাতের সমস্যা সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে বাস্তব কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, পরিবহন খাতে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাস্তবসম্মত উদ্যোগ আমরা দেখিনি। এর অন্যতম কারণ হিসেবে মনেকরি এ খাত প্রচণ্ডভাবে স্বার্থের দ্বন্দ্বের কাছে জিম্মি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ০২, ২০১৮)