পানিসম্পদ মন্ত্রীর ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর গাড়ি আটকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেননি চালক।
ফলে শিক্ষার্থীরা ওই গাড়ি আটকে রাখেন। পরে মন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে অন্য গাড়িতে করে অফিসে যান। বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ধানমন্ডি-১৫ নম্বরে ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে বুধবার (১ আগস্ট) শাহবাগে উল্টো পথে চলায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের গাড়ি আটকে দিয়েছিল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিরাপদ সড়কের দাবিতে ধানমন্ডি-১৫ নম্বরে রাস্তার ওপর অবস্থান নেয় একদল শিক্ষার্থী। তারা রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসা করা গাড়িগুলো থামিয়ে ড্রাইভারের লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র আছে কিনা তা চেক করছিল। এসময় শিক্ষার্থীদের সামনে এসে থামে পানিসম্পদ মন্ত্রীর গাড়ি। গাড়িতে ছিলেন মন্ত্রী। গাড়ির ড্রাইভারকে শিক্ষার্থীরা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে বললে, তিনি দেখাতে পারেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, মন্ত্রীর গাড়ি না আটকাতে শিক্ষার্থীদের বার বার অনুরোধ জানান পুলিশ। এসময় শিক্ষার্থীরা পুলিশের কোনও কথা না শুনে বলেন, ‘স্যার কেন লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইভারকে রাস্তায় নামালেন? কেন তিনি অ্যালাও করলেন?’ পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু গাড়ি থেকে নেমে অন্য গাড়িতে করে গন্তব্যের দিকে রওনা হন। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘সাবাশ সাবাশ’ বলতে থাকেন এবং ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে শ্লোগান দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার বিকেলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘আমার গাড়িতে সমস্যা হয় নাই। আমার গাড়িটি ছিলো ব্যক্তিগত। কিন্তু চালক ছিলো সরকারি। গাড়িতে ওঠার আগে স্টাফরা তাকে চার-পাঁচবার জিজ্ঞেস করেছে, কাগজপত্র সব ঠিক আছে কি-না, চালক জানায়, ‘যে সব ঠিক আছে।’
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আরও বলেন, ‘আমার গাড়ি ছাত্ররা আটকায়। চালকের কাগজপত্র দেখতে চায়। কিন্তু দেখাতে পারেনি। চালক বলল যে, লাইসেন্সের কাগজপত্র রিনিউ করতে জমা দিয়েছে। এরপর ছাত্ররা তার কাছে স্লিপ চাইলেও সে দেখাতে পারেনি। এরপর আমি আমার গাড়ি চেঞ্জ করে ফেলি। অন্য গাড়িতে করে অফিসের দিকে চলে আসি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্ররা তো আমাকে আটকায়নি। আমিও গাড়ির ভেতরে বসে থাকিনি, অন্য গাড়িতে করে অফিসে চলে যাই। ছাত্ররাই আমাকে সাহায্য করেছে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ০২, ২০১৮)