রাজধানীর সড়কে আজও গণপরিবহন কম
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে রবিবার জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেশারেশিতে ঝরে যায় দুই শিক্ষার্থীর প্রাণ।
এরপর তার সহপাঠীরা আন্দোলনে নামেন। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন পুরো রাজধানীসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
শুক্রবার আন্দোলনের ষষ্ঠ দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে কিছু শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে পরিবহনের লাইসেন্স আছে কিনা তা যাচাই করছে।
এদিকে, সরেজমিনে দেখা যায় রাজধানীতে আজও গণপরিবহন নেই বললেই চলে। অনেকক্ষণ পর পর একটি গণপরিবহনের দেখা যায়। যদিও আজ সরকারি ছুটির দিন তবু, কর্মমুখি নানা পেশার মানুষকে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে গণপরিবহন না থাকায়। তাদের অনেককে রিকশা বা পায়ে হেটে কর্মস্থলে যেতে দেখা যাচ্ছে।
সকাল থেকেই রাজধানীর মতিঝিল, সায়দাবাদ, ফার্মগেট, মহাখালী, গুলশান, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, রামপুরা, বাড্ডা, ধানমন্ডি, মিরপুর-১০ গোলচত্বর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় গণপরিবহন তেমন চোখে পড়েনি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেয়ার পর যদি আন্দোলন হয়, তবে তা কিন্তু অযৌক্তিক হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছি। অনেক দাবি ইতোমধ্যে মেনে নেয়া হয়েছে। যেটা বাকি শুধু সড়ক পরিবহন আইন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আগামী মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে আইনটি অনুমোদন হওয়ার পর সংসদে যাবে। আশা করছি আইনটি পাস হবে।
অপর দিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, দুই সহপাঠী হারিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যে প্রতিবাদ জানিয়েছে তা যৌক্তিক। কিন্তু এর ফলে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা (সাবোটাজ) ও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই অনুরোধ, যথেষ্ট হয়েছে, তোমরা ক্লাসে ফিরে যাও, বাসায় ফিরে যাও। যদি কিছু ঘটে তবে নিরাপত্তাবাহিনী এর দায় নিয়ে পারবে না।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ০৩, ২০১৮)