দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের আক্রমণ দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মহাম্মদ এরশাদ।

শনিবার সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সম্মেলনে এরশাদ এ মন্তব্য করেন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করতে কোনো রাজনৈতিক দল বা অন্য কোনো পক্ষ শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে দেয়নি। দেশবাসীই তাদের সমর্থন দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত তাদের দাবি কার্যকর না করে বরং শিক্ষার্থীদের দমনের যে চক্রান্ত করা হচ্ছে তা দুঃখজনক। এ সময় সড়ক মহাসড়কে যানবাহন না চললেও নিরাপদ সড়কের দাবিকে পরিবহন শ্রমিকদের কাছে মাথানত না করারও পরামর্শ দেন এরশাদ।

এর আগে শুক্রবার এরশাদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর একমাত্র বিচার মৃত্যুদণ্ড।

২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। তারা যানবাহন ও চালকের লাইসেন্স তল্লাশি করছে। কোনো অনিয়ম পেলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশের কাছে মামলা করার জন্য। তারা ‘নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছে।

সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে এরই মধ্যে ২০ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানও নিহতের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নয়টি দাবি করেছে। তাদের সব দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও বলেছেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এখন তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার উচিত বলে জানান তিনি।

এরই মধ্যে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতারা বলেছেন, নিরাপদ বোধ না করা পর্যন্ত তারা রাস্তায় বাস নামাবেন না। ফলে অঘোষিত ধর্মঘট চলছে। শুক্রবার থেকেই আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ০৪, ২০১৮)