পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে ছিল নওশাবের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো অভিনেত্রী নওশাবা আহমেদের উদ্দেশ্যে ছিল বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ।
নওশাবাকে র্যাব-১ এ নিয়ে প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদ শেষে শনিবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে ১২:৩০মিনিটে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে শনিবার অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে উত্তরা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তিতে নওশাবা জানান, ফেসবুক লাইভে আসার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না । জিগাতলা নিয়ে কথা বললেও সে সময় উওরা শুটিং স্পটে ছিলেন বলে স্বীকার করেন তিনি।
এদিকে ৪আগষ্ট শনিবার বিকেলে ফেসবুক লাইভে কাজী নওশাবা জানান, রাজধানীর জিগাতলায় একজন শিক্ষার্থীর চোখ তুলে ফেলা ও চার শিক্ষার্থীকে মেরে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনাটি একটি ছেলের রিকোয়েস্টে করেছেন বলে স্বীকারক্তি দেন নওশাবা।
স্বীকারক্তিতে নওশাবা আহমেদ বলেন, রুদ্র নামের একটি ছেলের রিকোয়েস্টে সে ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেছে। যেন সহিংসতা আরও বেড়ে যায়।অথচ রুদ্রর সাথে তার পরিচয় হয় ৩ তারিখে।
গুজব ছড়ানোর বিষয়ে অভিনেত্রেী নওশাবাকে কোন টাকা দেওয়া হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার মুফতি মাহমুদ বলেন, কারা কারা এর সাথে জড়িত এবং অর্থের লোভে এ রকম অপ্রপচার চালানো হয়েছে কিনা এসব বিষয়ে জিঙ্গাসাবাদ করা হবে।
মুফতি মাহমুদ আরও জানান, যে ঘটনা ঘটে নি অথচ সেটা ফেসবুক লাইভে এসে অপ্রপচার চালানো হয়েছে। এর সাথে রুদ্র ছাড়াও যারাই জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া যারাই এই ধরনের অপ্রপচার এবং বিভ্রান্তে লিপ্ত হবে তাদের প্রতেককে আইনের আওতায় আনা হবে। তাই শিক্ষাথীদের এই সব প্রপাগান্ডায় কান না দেওয়ারও আহবান জানান তিনি ।
অপরদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ এর যে উস্কানিমূলক ফোন-আলাপ ভাইরাল হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলাও হয়েছে। অতি দ্রুত তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ০৫, ২০১৮)