আলোকচিত্রী শহিদুলের চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে করা মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের সাতদিনের রিমান্ড স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে শহিদুল আলমের শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওইদিন এই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে শহিদুলের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে শহিদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন।
শহিদুল আলমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তানিম হোসেন শাওন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার আইসিটি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে সাতদিনের জন্য রিমান্ডে পাঠান আদালত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মোহাম্মাদ আছাদুজ্জামান নূর এই আদেশ দিয়েছিলেন।
আসামি শহিদুল আলমকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তাঁর ফেসবুক টাইমলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকররূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন।
রিমান্ড আবেদনে আরো বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।
তবে শহিদুল আলমের পক্ষে আইনজীবী সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। এই দুই আইনজীবী আদালতকে বলেন, শহিদুল আলমকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাঁরা আদালতকে বলেন, শহিদুল আলমকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।
পরে শহিদুল আলমের আইনজীবী সারা হোসেন সাংবাদিকদের কাছে বলেন, এই রিমান্ড আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্ট আবেদন করা হবে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ০৭, ২০১৮)