নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এক শিক্ষক ও এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
 
 মঙ্গলবার তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

এরা হলেন চাটখিলের খিলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক কামাল উদ্দিন খান (৩০) ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফিরোজ আলম মিলন (৪০)।

তাদের দুজনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে থানায় মামলা হয়েছে।

চাটখিল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাছুম জানান, ছোট জীবনগর গ্রামের মৃত নূর হোসেনের ছেলে স্কুল শিক্ষক কামাল উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত কয়েক দিন ধরে সরকার বিরোধী নানা অপপ্রচার ও গুজব ছড়ান।

এছাড়া নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে সহিংসতায় উস্কে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশ সম্পর্কে বিভিন্ন বিতর্কিত পোস্ট শেয়ার করেন তিনি।

বিষয়টি নজরে আসার পর স্থানীয় লোকজন নিজ বাড়ি থেকে মঙ্গলবার কামালকে আটক করে পুলিশে দেয়। পুলিশ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করেছে। এ ব্যপারে তথ্য প্রযুক্তি আইনে থানায় মামলা হয়েছে বলে মাছুম জানান।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল হক বলেন, সিরাজপুর ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের হারিছ আহম্মদের ছেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফিরোজ আলম মিলন (৪০) গত কয়েকদিন থেকে নিজের ফেইসবুক আইডি ব্যবহার করে নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে উস্কে দেওয়ার জন্য নানা রকম অপপ্রচার ও গুজব ছড়ান।

“বিষয়টি নজরে আসার পর মঙ্গলবার বিকালে বসুরহাট বাজার থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেটটি জব্দ করা হয়। তার তথ্য প্রযুক্তি আইনে থানায় মামলা হয়েছে।”

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদেরকে আন্দোলকে সহিংসতায় রূপ দেওয়ার উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোর সাথে জড়িতদের সম্পর্কে খোঁর খবর নিচ্ছে পুলিশ। সময় মতো তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/আগস্ট ০৮,২০১৮)