বেতন বাড়লো পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার আগেই আরেক দফা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বেতন বৃদ্ধি পেলো।
নতুন চুক্তির পাশাপাশি খেলোয়াড়দের মাসিক বেতনও বৃদ্ধি করেছে পিসিবি। সর্বমোট ৩৩ জন প্লেয়ারকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে পিসিবি। অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও শোয়েব মালিক আছেন সর্বোচ্চ ক্যাটাগরিতে। তবে পিসিবির ঘোষিত চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন ওমর আকমল ও আহমেদ শেহজাদ।
খেলোয়াড়দের মাসিক বেতন ২৫%-৩০% বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং ম্যাচ ফি বাড়ানো হয়েছে ২০ শতাংশ। পূর্বে চারটি ক্যাটাগরি থাকলেও এ বছর নতুন ক্যাটাগরি ‘ই’ সংযোজন করা হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা পাবে এক মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। ‘বি’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়ররা পাবে ৭ লাখ রুপি। ‘সি’ ও ‘ডি’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের দেয়া হবে যথাক্রমে ৫ লাখ ও ৩ লাখ রুপি। প্রথমবারের মতো সংযোজন হওয়া ‘ই’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের বেতন এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয় ও সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কারস্বরূপ সরফরাজ-ফখরদের বেতন-ভাতা বাড়বে তা অনুমেয়ই ছিল। তবে টাকার অঙ্কটা প্রকাশ করেনি বোর্ড। এতদিন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ছিল চার ক্যাটাগরি। এবারের চুক্তিতে ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফরমারদের উৎসাহ দেয়ার লক্ষ্যে পঞ্চম ক্যাটাগরি অন্তর্ভুক্ত করেছে পিসিবি।
পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি মনে করেন- ‘নতুন বেতন কাঠামো ঘরোয়া সার্কিটের পাশাপাশি যুব ক্রিকেট পর্যায়ের ক্রমবর্ধমান ক্রিকেটারদের অব্যাহত উন্নয়নকে উৎসাহিত করবে’।
নতুন এই ক্যাটাগরিতে মোহাম্মদ হাফিজকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রাখলেও প্রথমবারের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উঠে এসেছে বাবর আজম। ফখর জামান ও শাদাব খান ‘সি’ থেকে উঠে এসেছেন ‘বি’তে।
নতুন চুক্তির পূর্ণাঙ্গ ক্যাটাগরি-
ক্যাটাগরি এ
আজহার আলী, শোয়েব মালিক, শরফরাজ আহমেদ, ইয়াসীর শাহ, বাবর আজম ও মোহাম্মদ আমির।
ক্যাটাগরি বি
মোহাম্মদ হাফিজ, ফাহিম আশরাফ, আসাদ শফিক, হাসান আলী, ফখর জামান ও শাদাব খান।
ক্যাটাগরি সি
মোহাম্মদ আব্বাস, ওয়াহাব রিয়াজ, জুনায়েদ খান, হারিস সোহেল, ইমাম-উল-হক, মুহাম্মদ নওয়াজ, উসমান খান সিন্ধি, শান মাসুদ ও ইমাদ ওয়াসিম।
ক্যাটাগরি ডি
রুম্মান রইস, আসিফ আলী, রাহাত আলী, উসমান সালাহউদ্দিন ও হুসাইন তালাত।
ক্যাটাগরি ই
বিলাল আসিফ, সাদ আলী, মুহাম্মদ রিজওয়ান, শাহীন শাহ আফ্রিদি, সাহেবজাদা ফারহান, উমাইদ আসিফ ও মীর হামজা।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ০৮, ২০১৮)