কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন হাসনাত করিম
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: হলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা থেকে নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের অব্যাহতির আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৮ আগস্ট) মামলার চার্জশিট গ্রহণের পর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই আবেদন মঞ্জুর করেন।
বুধবার আদালত ৮ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাসনাত করিমের অব্যাহতির সুপারিশ করে আবেদন জমা দেন। পরে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। একই সঙ্গে বিচারক আগামী ১৬ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অব্যাহতির অনুমতিপত্র আদালত থেকে কারাগারে গেলেই হাসনাত করিমকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আদালত থেকে পুলিশ তাকে কারাগারে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পিপি আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, ‘বিচারক হাসনাত করিমকে অব্যাহতি দিয়েছেন। অব্যাহতির আদেশ কারাগারে পৌঁছালেই কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হবেন।’
আজ চার্জশিটভুক্ত পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানারও আদেশ দেন বিচারক। পলাতক আসামিরা হলেন শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।
কারাগারে থাকা ছয় আসামি হলেন হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি' নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ।
এর আগে গত ৩০ জুলাই মামলার চার্জশিট গ্রহণ ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য আজকের (৮ আগস্ট) দিন ধার্য করেন আদালত। গত ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। এরপর মঙ্গলবার ঢাকা সিএমএম আদালত থেকে ওই ট্রাইব্যুনালে মামলার নথি পৌঁছায়। গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির মামলার চার্জশিট সিএমএম আদালতের জিআর শাখায় দাখিল করেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ০৮, ২০১৮)