দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক :  শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ধ্বংসাত্মক রূপ দিতে অনেকে চেষ্টা করেছেন জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার মো.আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন: আপনারা অনেক ‘তথাকথিত’ দায়িত্বশীল নেতার অডিও-ভিডিও রেকর্ড শুনেছেন। এমন আরও কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতার অডিও রেকর্ড রয়েছে পুলিশের হাতে।

ট্রাফিক সপ্তাহ-২০১৮ উপলক্ষ্যে শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রধান এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে কোমলমতি শিশু-কিশোররা আমাদের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। তাদের দাবি যৌক্তিক, ন্যায্য। আমরা তাদের চেতনাকে অন্তরে ধারণ করি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তৃতীয় দিনে স্বার্থান্বেষী মহল প্রপাগান্ডা ছড়ায়। হত্যা, ধর্ষণ ও চোখ তুলে ফেলার মতো গুজব ছড়িয়ে মিথ্যাচার করে। আন্দোলনের সময় আমরা দেখেছি, গাউসিয়া-নিউ মার্কেটে স্কুলড্রেস বানানোর হিড়িক পড়ে যায়। ভুয়া আইডি কার্ডও তৈরি হয়। ছাত্রদের ভ্যাট আন্দোলন, কোটা আন্দোলনে সহিংসতা এবং ২০১৪ সালের দেশজুড়ে জ্বালাও-পোড়াও একই সূত্রে গাঁথা বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, কীভাবে শিক্ষার্থীদের ওই আন্দোলনে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ধ্বংসাত্মক পরিবেশ তৈরি করা হবে, সেসব তথাকথিত দায়িত্বশীল নেতার অডিওতে এগুলো উঠে এসেছে। সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন: সেদিনের ঘটনা দুঃখজনক। ওই ঘটনায় কেউ যদি আমাদের কাছে অভিযোগ করেন আমরা মামলা নেবো। পাশাপাশি ওই ঘটনা নিয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন: আমরা এই ট্রাফিক সপ্তাহে ব্যক্তি, পেশা, তার অবস্থান নির্বিশেষে সবাইকে এই বার্তা দিতে পেরেছি যে, ট্রাফিক আইন অমান্য করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এসময় ডিএমপি কমিশনার ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে ছয় দিনে রাজধানীতে পুলিশের অভিযানের কিছু তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন: এই সময়ে ট্রাফিক আইন অমান্য করায় মোট ৫২ হাজার মামলা হয়েছে। লাইসেন্স না থাকায় মোট ১১ হাজার ৪০২ জন চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ফিটনেস না থাকায় ডাম্পিং করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৭২টি গাড়ি। আর এই সময়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে তিন কোটি টাকার বেশি।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/আগস্ট ১১,২০১৮)