দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বড়পুকুরিয়া কয়লা কেলেঙ্কারির ঘটনায় পেট্রোবাংলার ৩২ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আগামী ১৬, ২৮, ২৯ ও ৩০ আগস্ট পর্যায়ক্রমে তাদের দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

সোমবার পেট্রোবাংলাকে দেওয়া দুদকের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, ১৬ আগস্ট সাতজন, ২৮ আগস্ট আটজন, ২৯ আগস্ট আটজন ও ৩০ আগস্ট নয়জনকে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

খনি থেকে এক লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা গায়েবের ঘটনায় গত ২৪ জুলাই পার্বতীপুর মডেল থানায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে ১৯ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, খনি উন্নয়নের সময় (২০০১) থেকে ১৯ জুলাই ২০১৮ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪২ দশমিক ৩৩ মেট্রিক টন কয়লা উৎপাদন করা হয়েছে। উৎপাদিত কয়লা থেকে পাশের তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৯ দশমিক ২৯ মেট্রিক টন সরবরাহ করা হয়।

এছাড়া বেসরকারি ক্রেতাদের কাছে ডিও’র মাধ্যমে ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ২৮০ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন কয়লা বিক্রি এবং কয়লাখনির বয়লারে ১২ হাজার ৮৮ দশমিক ২৭ মেট্রিক টন কয়লা ব্যবহার করা হয়। কয়লার উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার হিসেব করলে ১৯ জুলাই কোল ইয়ার্ডে রেকর্ডভিত্তিক কয়লার মজুত দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন। কিন্তু বাস্তবে মজুত ছিল প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা। অর্থাৎ ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন কয়লা ঘাটতি রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৩০ কোটি টাকা বলে জানানো হয়।

অভিযোগে বলা হয়, ‘এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাকি ১৫ জন অনেক আগে থেকেই তৎকালীন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে কয়লা চুরির ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে অনুমান করা হয়।’

কয়লা উধাওয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ জুলাই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার কথা বলা হয়েছে। কমিটির প্রধান উপপরিচালক শামসুল আলম এবং অপর দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক এএসএম সাজ্জাদ হোসেন ও উপসহকারী পরিচালক এএসএম তাজুল ইসলাম।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ১৩, ২০১৮)