শোক দিবসে কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘এবার জাতীয় শোক দিবসের নিরাপত্তায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। ১৫ আগস্ট শোক দিবসকে ঘিরে রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।’
বিপুলসংখ্যক পোশাকি এবং সাদা পোশাকি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর ও আশপাশের এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থার পাশাপাশি পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রবেশপথে আর্চওয়ে দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে সবাইকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে হবে।
মঙ্গলবার ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সুনির্দিষ্ট হুমকি না থাকলেও আমরা কোনো আশঙ্কাই উড়িয়ে দিচ্ছি না। একটি স্বার্থান্বেষী মহল ১৯৭১ সাল থেকেই সক্রিয়। অতীতেও সেই স্বার্থান্বেষী মহলের অপতৎপরতা আমরা কঠোরভাবে দমন করেছি। এবারও গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীজুড়ে ব্যাপক ব্লকরেইড, তল্লাশি চলছে।
তিনি বলেন, সোমবার দুই হাজার পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে আগারগাঁও, ধানমণ্ডি, হাজারীবাগ এলাকায় ব্লকরেইড চালানো হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। সারা শহরে দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য সুদৃঢ় নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডি ৩২ ও বনানী কবরস্থান এলাকা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে। ডিএমপি ও র্যাবের ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমেও সুইপিং করা হবে। ৩২ নম্বরে পুলিশের কন্ট্রোলরুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে।
গত বছর শোক দিবসের আগে ধানমণ্ডি ৩২ সংলগ্ন হোটেল ওলিওতে একটি জঙ্গি তৎপরতা নস্যাৎ করে দেয় পুলিশ।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘জঙ্গিরা একেক সময় একেক নামে সামনে এলেও এদের রুট আসলে একটাই। গত বছরের এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষপর্যায়ে। এ পর্যন্ত আমরা ১৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের মধ্যে ১০ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল ধানমণ্ডি ৩২ এ শোক দিবসের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা। কিন্তু আমরা তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছি।
আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, ১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর সর্বসাধারণের জন্য ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। সাধারণরা রাসেল স্কয়ার হয়ে প্রবেশ করে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে পশ্চিম পাশ দিয়ে বের হয়ে যাবেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কেউ সেলফি তুলে সময় নষ্ট না করে নিজে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অন্যকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ করে দিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, শোক দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদনে আসার সময় কেউ হ্যান্ডব্যাগ, ভেনিটিব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, দাহ্য পদার্থ, ছুরি-কাচি বহন করতে পারবেন না।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ১৪, ২০১৮)