গল্প
স্বত্বাধিকারী
শফিক সাফি
আকাশের কান্না যেন আজ আর থামবে না। ঝুমঝুম বৃষ্টি পড়ছে তো, পড়ছেই। দু’জন পাশাপাশি বসে। হাতে চায়ের ধুমায়িত মগ। মালিহা তৃপ্তির বড় চুমুক দিল মগে। কথা বলতে বলতে যেন তার গলা শুকিয়ে কাঠ। এতক্ষণ ধরে মালিহার গল্প অবাক হয়ে শুনছিল রাবাব। আর অবলীলায় তা মনের বায়োস্কোপে চিত্রায়িত করছিল। মেয়েটি এতো সুন্দর করে কথা বলে!
হাতে থাকা এডিফাইস ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময় দেখল সে। অনেক কাজ, উঠতে হবে কিন্তু মালিহার গল্প তাকে পেয়ে বসেছে। শেষ না করে উঠতে মন চাইছে না।
জিজ্ঞাসার দৃষ্টিতে মালিহার দিকে তাকাতেই রাবাবের এমন চাহনিতে লজ্জা পেল মালিহা।
চায়ের মগটা নামিয়ে রাখল টেবিলে। আবার বলতে শুরু করলো-
আমাকে এমনভাবে ব্ল্যাকমেইল করা হল। আমি কিছুতেই না করতে পারিনি। না যেতে যে চেষ্টা করিনি তা নয়। কিন্তু কে জানত, সে যাওয়াতেই আমার সব কিছু সাঙ্গ হবে।
আমি যখন যেতে চাইছিলাম না, তখন আম্মু বারবার আমাকে বলছিল, না গেলে আব্বু-চাচ্চুদের মানসম্মান থাকবে না। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর এই এক সমস্যা। শুধু সমস্যা বলবে না, বলব বড় সমস্যা। না খেয়ে থাকবে কিন্তু তাদের মানসম্মান যাওয়া চলবে না।
ওই দিন সকালের নাস্তা খেয়ে টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। মাঝে মাঝে এমনটি হয়ে যায়। ভর দুপুরে জোর করে আমাকে উঠানো হলো। আম্মু বারবার বলছিল, ওঠ, ভাত খেয়ে নাও। হাত ধরে টানাটানির এক পর্যায়ে খুব রাগ হচ্ছিল। আম্মুকে ধমক দিয়ে বলি, এমন করছো কেন? অন্যসময় এমন হলে নিশ্চিত আম্মু বকা দিত। কিন্তু এবার আমার রাগ যেন কিছুই মনে হচ্ছিল না তার কাছে।
বাধ্য হয়ে ঘুম থেকে উঠে বলি, আমি যেতে পারব না। ওকে (কাশু, ছোট বোন) নিয়ে যাও।
খুব স্বাভাবিক অথচ শীতল চোখে আম্মু চাহনি দিয়ে বলল, ওর সময় হলে ওকেও নিয়ে যাব।
বলেই সে পাশের ঘরে চলে গেল।
আম্মুকে শুনিয়ে জোরে জোরে বলতে লাগলাম, ‘আমার আয়রণ করা জামা নাই, শরীর খারাপ লাগছে’ ইত্যাদি।
কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না।
আম্মু এসে জেদ করেই বলল, তোমাকে তো পানিতে ফেলে দিয়ে আসছি না। আমারও ধারণা ছিল, কী আর হবে, দুই চারবার গেলেই কী সব হয়ে যায়? কিন্তু আমার যেতেই অসহ্য লাগছিল।
আম্মু যখন বলল, তুমি সেখানে গেলে বারগার আর ফুসকা খাওয়াব। তখন আমি চুপ।
ফেভারিট খাওয়ারগুলোর প্রস্তাবের লোভ সামলাই কিভাবে।
আমার যে কোথাও যেতে হচ্ছে তা আগের রাতে আম্মু আর আব্বুর ফিস ফিস শুনে মোটামুটি টের পেয়েছিলাম। কী আর করা। মনে মনে ভাবলাম, রিস্ক নেই একটা। এক-দুইবার গেলেই কিছু আর হবে।
তৈরি হয়ে আম্মুর সঙ্গে রওনা হলাম।
১.১
সময়টা, মধ্য এপ্রিল। বসন্তের মাতলামি শেষে গ্রীষ্মের পাগলামিতে মাটি ফ্যাকাশে। ধীরে ধীরে বাড়ছে তাপ। বাড়ছে ঝড়ের প্রকোপও। চারদিকে আম, জাম, কাঁঠালের সঙ্গে বেলী, বকুলের পসরা। সূর্য হেলে পড়তে শুরু করেছে। দুই পাশের গাছের সারি। রোদ খুব একটা লাগছে না। রিক্সা করে আমি আর আম্মু রহমান মার্কেটের যাচ্ছিলাম। এই এলাকার এটিই ভাল মার্কেট। বাসা থেকে রওনা হওয়ার দশ মিনিটের মধ্যে তিনবার ফোন দিয়েছে আব্বু। জানতে চাইছে, আমাদের অবস্থান কোথায়। এই অবস্থান জানা শুরু হয়েছে, বাসায় থাকার সময় থেকেই। আমি যখন রেডি হয়নি, তখনও আম্মু বলেছে, হ্যা হ্যা ও রেডি হয়েছে। এখনই বের হবো। অথচ তখনও আমি তৈরিই হয়নি।
রিক্সায় আম্মু বলছিল, ফোনটা আমার কাছে দাও। আমি একটু অবাক হয়েছিলাম। বললাম, ফোন তোমার কাছে দেওয়ার কী আছে। তোমার কী দেখানো লাগবে আমি মোবাইল ব্যবহার করি না। আগে বলতে, তাহলে তো আমি হিজাব পরেই আসতাম। হিজাব না বোরকা পরে মুখ ডেকে আসতাম।
মার্কেটটার কাছাকাছি আসতেই আম্মুর ফোন বেজে উঠল। আব্বু জানতে চাইল, তোমরা কী মার্কেটে ঢুকে গেছ? আম্মু না বলায়, সেখানে না গিয়ে আরেকটি জায়গায় যেতে বলল আব্বু।
জায়গাটা রাস্তাতেই পড়ে। তাই রিক্সা আর ঘুরানো লাগেনি।
কিছু দূর যেতেই পৌঁছে গেলাম।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর কৃত্রিম বিনোদন কেন্দ্র এটি। নাম গার্ডেন। এখানে আরেকবার এসেছিলাম, বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিতে। ঢুকতেই একটি লেক, এপাশ থেকে ওপাশে সাদা রংয়ের একটি ছোট কাঠের ব্রিজ, পাশেই কিছু চেয়ার টেবিল, সাদা ফুলে পরিবেশটা অপরুপ। কেন্দ্রটির মূল কাঠামোতে ঢোকার মুখেই ফুলেভরা কয়েকটা কৃষ্ণচুড়ার গাছ, গাছের ডালে প্রতিদিনের অতিথি পাখি। ঢুকতেই সোজা একটি সৃদুশ্য ছাউনি।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলো বলে। যে যার মতো মুহূর্তগুলো উপভোগ করছে। অথচ মায়ের পাশে বসে আমার, বিরক্ত, নাহ মহাবিরক্ত লাগছে। পালাতে চাচ্ছিল মন। নানান কিছু ভাবছিলাম।
ভাবনায় চিন্তার ছেদ পড়ল, যখন দেখলাম একটা ছেলে সেখানে ঢুকল। সঙ্গে দুই বন্ধু। সে একনজর তাকালো আমার আর আম্মুর দিকে। পাত্তা দিলাম না। পরক্ষণেই ভাবনায় ডুবে গেলাম। মস্তিষ্কের নিউরন জুড়ে বলছে, ক্ষণস্থায়ী এ জীবনের অনভূতি কত বিচিত্র। কত তুচ্ছ কারণে চোখ ঝাপসা হয়ে যায়, আবার ওলট-পালট করা ঝড়েও কী শান্ত, কী স্থির মানুষের হৃদয়।
ভাবছি আর দেখছি, ছেলেটি আমার দিকেই এগিয়ে আসছে। লম্বা, শ্যামলা বর্ণের গাঢ় কালো পোলো টি শার্ট আর নীল জিন্স গায়ে। সেই প্রথম দেখা।
২.১
আবার মগে চুমুক দিয়ে রাবাবের দিকে তাকালো মালিহা। বলল, এমনটি কিন্তু হওয়ার কথা ছিল না। রাবাব বারান্দায় এক পাশে জানালার ধারে হেলান দিয়ে দাঁড়ানো। বৃষ্টির আচ আসছে। সেদিকে খেয়াল নেই। মালিহার গল্পের বায়োস্কোপের ঘোরে মগ্ন সে। মালিহার প্রশ্নে ঘোর ভাঙ্গে।
মালিহা কথা বলতে বলতে আনমনে, এক হাতে বৃষ্টি ধরতে চাইছে। বৃষ্টির কিছুটা আচ হাতে নিয়ে তা দিয়ে মুখ মুছল।
আহ। মাঝে মাঝে বৃষ্টিটা এতো ভাল লাগে-রাবাবের দিকে তাকিয়ে বলল।
টিনের চালে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ আমারও মন ভাল করে দেয়- মালিহার কথার সঙ্গে নিজের ভাললাগা মুহুর্তের তাল মেলাতে চাইল।
ও যা বলছিলাম, মালিহা আবার বলতে শুরু করলো।
ছেলেটির পেছন পেছন তার দুইজন বন্ধু নিয়ে আম্মু আর আমার সামনে এসে দাঁড়াল। এর মধ্যে একজন আমাদের পূর্ব পরিচিত। সে আলাপ করিয়ে দিল। সাধারণ সৌজন্যতা। অল্পবিস্তর কথা। সঙ্গে থাকা একবন্ধু বলল, তোমরা কথা বল। তারা আম্মু নিয়ে উঠে চলে গেল।
আমি কিন্তু ভাবলেশহীন। ছেলেটিই আগ বাড়িয়ে জানতে চাইলো, কেমন আছেন?
বললাম, ভাল। পাশে বসা আম্মু। অথচ কিভাবে কথা বলছে ছেলেটি, একটু অবাক হচ্ছিলাম।
এখানে কেন এসেছেন, তা তো জানেন-ছেলেটির এমন প্রশ্নের জবাব কিন্তু আমি দেইনি।
কিঞ্চিৎ সন্দিহান ছেলেটির আবার প্রশ্ন করেছিল- আপনার কোনো পিছুটান নেই তো।
এবার কাটা কাটা জবাব দিলাম-থাকলে কী এখানে আসি।
আমি প্রচুর বিরক্ত হচ্ছিলাম।
কারণ আম্মু এখানে আসার আগে আমাকে সিচ্যুয়েশন ব্রিফ করেছে। বলেছে, রহমান মার্কেট যাবে। কিছু জিনিসপত্র কিনবে, আমরা খাব, ব্যস বাসায় চলে আসব। কেউ আমাদের সামনেও আসবে না, কিছু জিজ্ঞাসাও করবে না। বুঝতেও দিবে না যে তারা এসেছিল। উনারা সাইট থেকে দেখে চলে যাবে।
আর এখানে আসার পর কি হলো। ‘ঘন্টার মাথা’।
খিলখিলয়ে হাসতে লাগলো মালিহা। ‘ঘন্টার মাথা’ শব্দটি সাধারণত সে এভাবে ব্যবহার করে না। কদাচিৎ মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৩.১
মালিহা আর রাবাব যেখানে বসে কথা বলছিল, সেই বারান্দার সঙ্গে লাগোয়া পুকুর। সেদিকে তাকিয়ে মালিহা বৃষ্টি আর পুকুরের পানির মেলামেশার রসায়ন দেখতে গিয়ে হাসল। আড় চোখে রাবাবের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল।
মালিহা বলল, ছেলেটি যখন থেমে থেকে কথা বলছিল, তখন আমার মনে হচ্ছিল তার কথার ভান্ডারে খুব শিগগিরই টান পড়বে। কিন্তু এখন মনে হয় সেটি ভুল ছিল।
আমাকে যখন ছেলেটি জিজ্ঞেস করেছিল, আপনার কী কোনো পিছুটান আছে।
আমি জবাব দেইনি। বরং বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম, সরি।
সে আবার একই প্রশ্ন করল, আপনার কী কোনো পিছুটান আছে।
আমি বললাম, পিছুটান মিন্স (মানে)।
সে বলল, থাকে না, রিলেশনশিপ বা এমন কিছু।
তখন আমি বললাম, ও আচ্ছা। থাকলে তো আর এখানে আসতাম না।
পরে কিছু না বলে মাথা নিচু করে ছিলাম।
ছেলেটির এক বন্ধু এসে গার্ডেনে ডুকতেই ডান পাশে একটি সুন্দর জায়গায় বসার ব্যবস্থা করে দিল।
আমরা সেখানে যাওয়ার পর ছেলেটি জানতে চাইল, আপনার পছন্দের কী কী আছে।
আমি বললাম, পছন্দ মানে কী। পছন্দ তো অনেক কিছুই। যেমন গান আমার মুডের ওপর নির্ভর করে। ভাল মুড হলে এক ধরনের গান শুনি। মুড খারাপ থাকলে অন্য গান শুনি।
‘যদি থাকে নসিবে, আপনি আপনি আসিবে।’ এমন একটি গানের কথা সে বারবার বলতে লাগলো। মোবাইলে ডাটা থাকলে সে তখনই শুনাতে চাচ্ছিল। এখন বুঝি কেন সে বারবার সেই গানটি শোনাতে চাচ্ছিল।
কিছুক্ষণ চুপ চাপ দুইজনেই। ছেলেটি নার্ভাস জানিয়ে বলেছিল, আগে এভাবে সে কোনো মেয়ের সঙ্গে বসে কথা বলিনি। আমি নার্ভাস কী-না তাও জানতে চাইল? জবাবে বলেছিলাম হওয়াটাই স্বাভাবিক।
কথা বলার এক পর্যায়ে সে বলল, আসলে আমি তো সুন্দরভাবে কথা বলতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার পরও কিন্তু মেয়েদের সঙ্গে কথা বলার অভিজ্ঞতা নেই।
তখন বেশ রাগ হচ্ছিল। বললাম, না আসলে আমি জানতাম। যারা লিখে তারা তো অনেক বেশি কথা বলতে পারে। কথা বলতে না পারলে লিখতে পারে না। সবারে দিয়ে যে, সব কাজ হয় না। এটা শিখলাম।
ছেলেটি বলল, না আমি কথা বলতে পারি। কিন্তু আপনার মতো, মাংস কাটে না এমন কট কট করে কাটতে পারি না।
আমি হাসলাম।
প্রথমবার দেখায় এভাবে হাসতে হয় না-ছেলেটির এমন কথায় আমি আবার হাসলাম।
আলোচনার এক পর্যায়ে ছেলেটি একটু ইমোশনাল হয়ে বলল, আমি আমার বাবা মাকে অনেক বেশি ভালবাসি।
আমার আর কিছু জানার আছে কী-না তা জানতে চাইল ছেলেটি। না বলায়, আমি আম্মুর কাছে ফিরে এলাম।
আমরা যখন উঠি তখন ছেলেটি আমার পিছনে হাটছিল। রুমটা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেলো। এটা সাধারণ ভদ্রতা। কিন্তু অনেকেই দেখায় না।
ছেলেটি বাইরে গেল। তারা চলে যেতে চাচ্ছিল। কিন্তু আব্বু আসবে জানার পর অপেক্ষা করতে লাগল। কিছুক্ষণ পর আব্বু আসল।
বাইরে থেকে তারাও আব্বু পেছন পেছন আসল। আম্মু বলল, ওর বাবার বাজে কোনো স্বভাব নেই, সিগারেটও খায় না তখন ছেলেটির দিকে প্রথমবার ভাল করে তাকিয়েছিলাম। কেন তাকিয়েছিলাম, জানি না। তবে মনে হয়, তখন ছেলেটির শরীর থেকে সিগারেটের গন্ধ আসছিল। থাকে না টাটকা সিগারেটের গন্ধ। এই জন্য আম্মু বলার পর আমি সঙ্গে সঙ্গে তাকিয়েছিলাম। ছেলেটি তখন মাথা নিচু করে হাসছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম, সে সিগারেট খায়।
আমরা গার্ডেনের খাবার ঘরে গিয়ে বসলাম। খাবারের অর্ডার দেওয়া হলো। এক পর্যায়ে ছেলেটির ওপর আমার বিশ্রি রাগ হচ্ছিল। সে বারবার বলছিল, খাচ্ছেন না কেন, খান। চিনি না জানি না, আম্মু আব্বুর সামনে কেমনে আমার সঙ্গে কথা বলছে। কিন্তু পরে মনে হয়েছে, সেটা তো সাধারণ ভদ্রতার মধ্যে পড়ে। ভদ্রতা থেকেই হয়ত ছেলেটি বলছিল, খান। তবে বিরক্ত হলেও ভাবছিলাম, এই পর্যন্তই শেষ। সেকেন্ড টাইম আর এই ছেলের সঙ্গে দেখা তো দূরে থাক এসব নিয়ে আমার পর্যন্ত আসবেই না।
আমরা বিদায় নিলাম। যাওয়ার আগে ছেলেটি বলল, যদি আল্লাহ চায় আবার দেখা হবে। তখনও আমার ভেতর কোনো কিছুই কাজ করতে ছিল না। কখন বাসায় যাব, খাব সেই চিন্তা। খাওয়ার কথা বলে এনে কিছুই খেতে পারলাম না। কেমন বমি বমি লাগছিল।
৪.১
আকাশে হঠাৎ বাজ পড়লো। চমকে উঠল মালিহা। মগ থেকে কিছুটা চা পড়ে গেল। রাবাব টিস্যুর বক্স এগিয়ে দিয়ে বলল, দ্বিতীয়বার দেখা হয়েছিল?
হাসতে লাগলো মালিহা। বৃষ্টির শব্দের সঙ্গে সেই হাসি যেন সুর তুলল।
মালিহা জানাল, ওই ঘটনার ঠিক সপ্তাহখানেক পর দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে তাদের বিয়ে হয়।
হাসতে হাসতে আনন্দে মালিহার চোখ ধরে এসেছিল।
চোখটা মুছিয়ে চিবুকের তিলে হাত বুলাতে বুলাতে রাবাব বললো, কেঁদো না। এটাই নিয়তি।
ঘরে চল। চল কেক কাটি। আজ তোমার জন্মদিন।
শুভ জন্মদিন বৌ।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/আগস্ট ১৪,২০১৮)