ছাত্র আন্দোলনে উসকানির ঘটনায় ৫১ মামলা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় গড়ে ওঠা ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনে সহিংস ঘটনা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন থানায় মোট ৫১টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় বুধবার সকাল পর্যন্ত মোট ৯৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এর মধ্যে দণ্ডবিধি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মোট ৪৩ মামলায় ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আন্দোলনে সহিংস ঘটনা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানির প্রেক্ষিতে রমনা বিভাগে মোট ১৪টি মামলা করা হয় এবং মোট ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। যার মধ্যে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা হয় ১০টি। যেখানে গ্রেফতার করা হয় ২০ জনকে এবং ৮৪ জনকে আসামি করে করা ৪টি মামলায় গ্রেফতার করা হয় ১১ জনকে। ১৪টি মামলার মধ্যে ১৩টির তদন্ত করছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং একটি মামলা তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ।
লালবাগ বিভাগে একজনসহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনকে আসামি করে ১টি মামলা করা হয়। মামলায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওয়ারী বিভাগে মামলা হয়েছে ২টি। অজ্ঞাতনামা ৩৫০/৪৫০ জনকে আসামি করে করা দুই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে।
এ বিষয়ে মতিঝিল বিভাগে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ৬টি মামলা করা হয়েছে। ৬টি মামলায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তেজগাঁও বিভাগে ৬ জনকে আসামি করে দুটি মামলা করা হয়েছে। যার মধ্যে ২ জন এজাহারনামীয়সহ সন্দিগ্ধ আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মিরপুর বিভাগের মিরপুর মডেল থানায় বিইউবিটি ইউনিভার্সিটি ও কমার্স কলেজসহ অন্যান্য কলেজের অজ্ঞাতনামা ৫০০/৬০০ ছাত্র শিক্ষককে আসামি করে ১টি মামলা, অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনকে আসামি করে কাফরুল থানায় ১টি মামলা এবং ৯৬ জনকে আসামি করে আরও ৩টিসহ মোট ৫টি মামলা করা হয়েছে।
গুলশান বিভাগে অজ্ঞাতনামা ২০০০/২৪৫০ জনকে আসামি করে ৭টি মামলা এবং ৩১ জনকে আসামি করে আরও ২টি মামলাসহ মোট ৯টি মামলা করা হয়েছে। ৯টি মামলায় মোট ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উত্তরা বিভাগে অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জনকে আসামি করে ৩টি মামলা এবং ১১৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলাসহ মোট ৪টি মামলা করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়াও তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে ২৯ জনকে আসামি করে দায়ের করা মোট ৮টি মামলায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৮টি মামলার মধ্যে ৪টি মামলা ডিএমপি’র সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ, একটি ডিবি পুলিশ এবং একটি থানা পুলিশ তদন্ত করছে।
এই আন্দোলনে নানাভাবে গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ১৫, ২০১৮)