কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের মহেশখালীর আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহর বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা জিয়াবুল হককে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। নিহত জিয়াবুল মাতারবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

বুধবার (১৫ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এর আগে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

নিহত যুবলীগ নেতার ভাই ইউপি মেম্বার সরওয়ার কামাল জানান, হাতে ও পায়ে কোপানোর কারণে মারাত্মক জখম হয় জিয়াবুলের। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়ে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী জিয়াবুল হকের বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল। এ ব্যাপারে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও হয়েছে। বিষয়টি মহেশখালী থানা ও মাতারবাড়ির পুলিশ ফাঁড়িকে কয়েক দফা অবহিত করা হয়। ওই ঘটনার জের ধরে বুধবার জিয়াবুল হক ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বাংলাবাজার আসলে মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ উল্লাহর নেতৃত্বে শামসুল আলম, কাইচার হোসেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন।

তবে মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মাহমুদুল্লাহ অভিযোগ অস্বীকার করে গণমাধ্যমকে জনান, জিয়াবুলের ওপর হামলার সঙ্গে আমার কোনো ধরণের সংশ্লিষ্ট নেই। আমি সারাদিন শোক দিবসের আলোচনায় অংশ নিতে উপজেলা সদরে ছিলাম। আসল ঘটনা হলো তার ভাই সরওয়ার মেম্বার ইউনিয়নের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত। এই নিয়ে তার সঙ্গে আমার পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। এর জের ধরে এ ঘটনায় আমাকে অভিযুক্ত করছে সরওয়ার মেম্বার। আমি দাবি জানাচ্ছি, প্রশাসন তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বের করুক।

মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ গণমাধ্যমকে বলেন, মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ ও তার লোকজনের হাতে জিয়াবুল নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনার পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে ওই এলাকায় অভিযান জোরদার করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ১৬, ২০১৮)