দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : সবে গ্রীষ্মের শেষে শুরু হয়েছে হেমন্ত। দিনের আলো কমে দ্রুত অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে। এই সুযোগে জার্মানিতে বেড়ে চলছে চোরের উপদ্রব৷ এমনকি পুলিশ সেজে ধোঁকা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সব।

চোরদের ফন্দিটা এমন- প্রথমে টেলিফোন কল৷ অপরপ্রান্তে জার্মান ফেডারেল অপরাধ দমন দফতরের অফিসার৷ গম্ভীর কণ্ঠে বলছেন, দিনকাল খুব খারাপ৷ ডাকাতির ষড়যন্ত্রের সুনির্দিষ্ট খবর পাওয়া গেছে৷ নিরাপত্তার খাতিরে বাড়িতে গয়না-গাটি রাখা উচিৎ হবে না৷ সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেগুলো পুলিশের কাছে অথবা অন্য কোথাও নিরাপদে রাখতে হবে৷ গৃহস্থ ভাবলেন পুলিশ যখন বলছে, তখন তাদের কাছে গচ্ছিত রাখাটা সবচেয়ে নিরাপদ।

বাড়িতে কলিংবেল বাজতেই দরজা খুলে দেখা গেল ইউনিফর্ম পরা পুলিশকর্মীকে৷ অতএব, তার হাতে দামি গয়না-গাটি তুলে দিলেই নিশ্চিন্ত। দ্বিধাহীন মনে তুলে দিলেন তার হাতে। এরপরই শুরু হবে অন্য নাটক। টেলিফোনের অফিসার বা পুলিশকর্মী কাউকেই আর খুঁজে পাওয়া যাবে না৷ গয়না-গাটিসহ সবাই উধাও৷ এমন ঘটনা জার্মানিতে নিয়মিত ঘটছে বলে জানিয়েছে ডয়েচেভেলে।

দেশটির কোলোন শহরে সম্প্রতি এমন দুটি ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন৷ এ ধরনের চুরির শিকার হয়েছেন ৮১ বছরের এক বৃদ্ধা৷ পুলিশের ছদ্মবেশে এক চোর এসে তার গয়না-গাটি নিয়ে গেছে৷

৬১ বছরের এক নারীর ক্ষেত্রে ঘটেছে আরও অদ্ভূৎ ঘটনা৷ টেলিফোনে তাকে বলা হয়েছিল, গয়না-গাটি প্যাকেটে মুড়ে দরজার সামনে রাখতে৷ কারণ ডাকাতরা এক্ষুণি আসছে! সরল বিশ্বাসে পুলিশবেশী চোরের কথামতো কাজ। অতঃপর সম্পদ খোয়ানো।

জার্মানিতে পুলিশের টেলিফোন নাম্বার ১১০৷ মানুষজন পুলিশকে এই নম্বরেই ফোন করেন। চোরেরা ফোন করলেও গৃহস্থের টেলিফোনে এই নাম্বারটি ফুটে উঠছে৷ এক্ষেত্রে তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ধরনের ঝামেলা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে জনগণকে এক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে৷

(দিরিপোর্ট২৪/এসকে/এমডি/নভেম্বর ০৮, ২০১৩)