দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে গঠিত নতুন আন্তর্জাতিক কমিশনের সঙ্গে দেখা করেছেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্ট অং সান সু চি।

বুধবার (১৫ আগস্ট) তাদের বৈঠক হয় বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের নামে শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে থাকে ধারাবাহিকভাবে। এমন বাস্তবতায় নিধনযজ্ঞের বলি হয়ে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় দশ লাখে। এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে। তাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে বহু সংস্থা।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছর মে মাসেই মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে এই কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হযেছিলো। জুলাইয়ে কমিটির চারজনের নাম ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন ফিলিপাইনের কূটনীতিক রোজারিও মানালো। জাতিসংঘে জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত কেনজো ওশিমা ও মিয়ানমারের দুই বিশেষজ্ঞ অং তন থেত ও মিয়া থেইন।

অং তুন, ইউনিয়ন এন্টারপ্রাইজ ফর হিউম্যানেটেরিয়ান অ্যাসিস্টেন্স ইন রাখাইনের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা খুব শিগগিরই কাজ শুরু করবো।

কমিটির নেতৃত্ব দেবেন রোজারিও মানালা। বৃহস্পতিবার নেইপিদোতে তার সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে। অং তুন বলেন, এই মুহূর্তে আমি বেশি কিছু বলতে পারছি না। বাকিটা রোজারিও মানালা বলবেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ১৬, ২০১৮)