যুদ্ধাপরাধী লিয়াকত-আমিনুলের রায় যে কোনো দিন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলায় হবিগঞ্জের লাখাই থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. লিয়াকত আলী এবং কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে রায় হবে যে কোনো দিন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট, হত্যা, গণহত্যার মত মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে পলাতক দুই আসামিদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন এবং পলাতক দুই আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
মামলার নথিতে বলা হয়েছে, লিয়াকত একাত্তরে ছিলেন মুসলিম লীগের কর্মী। আর আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলী ওই সময়ে ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন।
অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর তাদের বিচার শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আইনজীবীদের প্রারম্ভিক বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে ওই বছর ৪ ডিসেম্বর শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।
লিয়াকত আলী ২০০৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। সভাপতি থাকা অবস্থাতেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়।
সেখানে বলা হয়, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাশাপাশি তিন থানা হবিগঞ্জ জেলার লাখাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ব্যাপক যুদ্ধাপরাধ ঘটান দুই আসামি।
২০১৬ সালের ১৮ মে সন্দেহভাজন দুই যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হওয়ায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাদের পলাতক দেখিয়েই বিচার চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় আদালত।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ১৬, ২০১৮)