দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রিয়জনের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করতে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে শুক্রবার (১৭ আগস্ট) থেকে। শনিবার (১৮ আগস্ট) ট্রেনে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিন। রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে ঘরমুখো যাত্রীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। তবে শুক্রবারের মতোই শনিবারেও কমলাপুর থেকে বিলম্বে ছাড়ছে ট্রেন। এতে যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

গত ৯ আগস্ট দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে যারা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কেটেছিলেন, তারা শনিবার যাত্রা করছেন। এদিন সকাল থেকেই কমলাপুরে ঘরমুখো যাত্রীদের উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়।

শনিবার সারা দিনে কমলাপুর থেকে ৬৮টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। তবে সকাল থেকেই বেশ কয়েকটি ট্রেন বিলম্বে ছেড়ে গেছে। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছেড়ে না যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ। তাদের ওঠানামার সুবিধার্থেই ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব করছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনের শুরুতে আন্তঃনগর ট্রেন রাজশাহী অভিমুখী ধুমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় কমলাপুর ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে গেছে সকাল ৭টায়। খুলনা অভিমুখী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে গেছে সকাল ৮টায়।

এছাড়া দিনাজপুর চিলাহাটি অভিমুখী নীলসাগর এক্সপ্রপস সকাল ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ছেড়ে গেছে ১০টা ১০ মিনিটেও ছেড়ে যেতে পারেনি। রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ১০টার দিকে স্টেশন ছেড়েছে। দিনের প্রথম ঈদ স্পেশাল ট্রেন লালমনিহাট এক্সপ্রেস ৯টা ১৫ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এটা ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেয়া হয় ১০টা ৫৫ মিনিট।

ট্রেন বিলম্বে ছেড়ে যাওয়া বিষয়ে কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ঈদে যাওয়া-আসা দুই সময়েই প্রতিটি স্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানামা করে ফলে অতিরিক্ত সময়ের জন্য ট্রেন কিছুটা দেড়িতে পৌঁছায়। আর যে ট্রেনগুলো বিলম্বে আসে সেই ট্রেনগুলো বিলম্বেই ছেড়ে যায়। তবে আমরা চেষ্টা করছি সব ট্রেনের সিডিউল ঠিক রাখতে।

তিনি আরও বলেন, শনিবার তেজগাঁওয়ে একটি ট্রেনে ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রায় ১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল, যার প্রভাব অন্য ট্রেনগুলোর উপর পড়েছে। ফলে বাকি ট্রেনগুলো কমলাপুর থেকে বিলম্বে ছেড়ে গেছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ১৮, ২০১৮)