খাগড়াছড়িতে গুলিবিদ্ধ আরও একজনের মৃত্যু
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি শহরের অদূরে স্বনির্ভর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম সমর বিকাশ চাকমা (৪৮)। শনিবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্বনির্ভর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই ৬ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় সমর বিকাশ চাকমাসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর থেকে পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঘটনাস্থলে নিহত ৬ জন হলেন- পলাশ চাকমা, জেলা সভাপতি গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, তপন চাকমা, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, খাগড়াছড়ি জেলা শাখা, লটন চাকমা, যুগ্ম সম্পাদক পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, খাগড়াছড়ি জেলা শাখা, জিতায়ন চাকমা (স্বাস্থ্য সহাকরী) মহালছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিধান চাকমা (চা দোকানদার), অনুপম চাকমা (ছাত্র)।
এছাড়া গুলিবিদ্ধ সুকিরন চাকমা (৩৫) ও সোহেল চাকমাকে (২২) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) শনিবার সকালে গ্রামবাসীদের নিয়ে একটি সমাবেশ ও বিক্ষোভ করার কথা ছিল। তার আগেই এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের অদূরে স্বনির্ভর বাজার ও আশপাশ এলাকায় আকস্মিকভাবে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা গুলি করলে ঘটনাস্থলেই ৬ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ইউপিডিএফ সমর্থক নেতা ও কর্মী। পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় স্বনির্ভর বাজারের পুলিশ বক্সেও গুলি লাগে।
ইউপিডিএফ-এর জেলা সমন্বয়কারী অংগ্য মারমা ঘটনার জন্য সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে। অবশ্য জনসংহতি সমিতি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে শিগগরিই আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে শনিবার সকালে দুর্বৃত্তদের হামলার পর দুপুরে আবারও ইউপিডিএফ সমর্থকদের উপর হামলা হয়েছে। এতে নারীসহ ৪ জন আহত হয়েছেন।
খাগড়াছড়ি সদরের পেরাছড়া এলাকায় শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ভাইবোন ছড়ার ৫নম্বর যৌথ খামার এলাকার সন কুমার চাকমা, খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী উর্মি চাকমা, গুলকানা গ্রামের বাসিন্দা মিনু চাকমা ও শিবন্দির এলাকার সোনা রঞ্জন চাকমা।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ১৮, ২০১৮)