খাগড়াছড়িতে হত্যাকাণ্ড তদন্তে কমিটি, মরদেহ হস্তান্তর
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে দুই দফা গোলাগুলিতে সাত জন নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে নিহত সাতজনের মধ্যে চারজনের মরদেহ শনিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি তিনজনের পরিবারের কেউ না আসায় তাদের মরদেহ খাগড়াছড়ি সদর থানায় রাখা হয়েছে। রবিবারই (১৯ আগস্ট) নিহতদের সমাহিত করার প্রস্তুতি চলছে।
এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার (২০ আগস্ট) খাগড়াছড়িতে অর্ধদিবস সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে পাহাড়ি সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলামের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু ইউসুফের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সদস্যদের মধ্যে আরও রয়েছেন- সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাসমুল তাবরিজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন, খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নয়নময় ত্রিপুরা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একজন সহকারী পরিচালক। ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে ইউপিডিএফের নেতাকর্মীসহ সাত জনকে হত্যার ঘটনায় সোমবার খাগড়াছড়িতে অর্ধদিবস সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে। ইউপিডিএফের প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির স্বর্নিভর বাজারে শনিবার সকালে পাহাড়ি সংগঠন ইউপডিএফের এক কর্মসূচি শুরুর আগে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে ছয় জন নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও তিনজন। এই হামলার জন্য প্রতিপক্ষ জেএসএসকে দায়ী করেছে ইউপিডিএফ। আধিপত্য বিস্তারের জন্যই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি সংগঠনটি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেএসএস বলছে, ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই এই নাশকতা ঘটেছে।
পরে ইউপিডিএফ দুপুরের দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে ফের সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এসময় শন কুমার চাকমা নামের একজন আহত হন, পরে তিনি মারা যান। শহরের প্যারাছড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ১৯, ২০১৮)