দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া আরও ১৭ শিক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

এর আগে দিনের শুরু থেকে বিকেল পর্যন্ত ২৫ জন জামিন পেয়েছেন। পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর ৯টি থানার ১২ মামলায় গ্রেফতার হওয়া মোট ৪২ শিক্ষার্থীকে রবিবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা মহানগরের ভিন্ন ভিন্ন হাকিম আদালতের বিচারক এ জামিন দেন।

সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তারা (জিআরও) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভাটারা থানার জামিনপ্রাপ্ত ৬ শিক্ষার্থী হলেন- সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম, শিহাব শাহরিয়ার, আজিজুল করিম অন্তর, মাসহাদ মুর্তজা আহাদ, মেহেদী হাছান, ফয়েজ আহমেদ।

বাড্ডা থানার জামিনপ্রাপ্ত ১২ শিক্ষার্থী হলেন-নূর মোহম্মদ, আজিজুল হক, মো. হাছান, দোয়ান আহম্মেদ, তরিকুল ইসলাম, রেজা রিফাত আখলাক, এ এইচ এম খালেদ রেজা, রাশেদুল ইসলাম, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহমেদ ও জাহিদুল হক।

ধানমন্ডি থানার জামিনপ্রাপ্ত ৯ শিক্ষার্থী হলেন- সোহাদ খান, মাসরিকুল ইসলাম, তমাল সামাদ, মাহমুদুর রহমান, ওমর সিয়াম, মাহাবুবুর রহমান, ইকবাল হোসেন, নাইমুর রহমান ও মিনহাজুল ইসলাম।

উত্তরা পশ্চিম থানার জামিনপ্রাপ্ত ৩ শিক্ষার্থী হলেন- মাহবুব খান রবিন, তোফায়েল ও আশিক।

কোতোয়ালি থানার জামিন প্রাপ্ত ৩ শিক্ষার্থী হলেন-মেহেদী, জাহিদুল ও দুলাল।

নিউমার্কেট থানার জামিনপ্রাপ্ত ৩ শিক্ষার্থী হলেন- আজিজুর, আমিন ও নূর আলম।

শাহবাগ থানার জামিনপ্রাপ্ত ২ শিক্ষার্থী হলেন-আবু বকর সিদ্দিক, রিয়াজুল হক উলু হাজী। পল্টন থানার জামিন প্রাপ্ত একজন শিক্ষার্থী হলেন- সাইফুল ওয়াদুদ।

রমনা থানার জামিনপ্রাপ্ত ৩ শিক্ষার্থী হলেন-আরমানুল হক, খাইরুল আলম দিপু ও দাইয়ান নাফিজ প্রধান।

জানা গেছে, রবিবার সকালে বাড্ডা থানার ১০ জন শিক্ষার্থী এবং ভাটারা থানার ৬ জন শিক্ষার্থীর জামিন দেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। এর মধ্যে ইফতেখার আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থীর জামিন দেন সিএমএম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরু। এরপরে একে একে ভিন্ন ভিন্ন থানার মামলায় অন্যান্য বিচারকরা বাকি শিক্ষার্থীদের জামিন দিয়েছেন।

সূত্র জানায়, বাড্ডা ও ভাটারা থানার ২২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৮ জন জামিন হলেও আরও ৪ জন কারাগারে আছেন। এছাড়া আরও বিভিন্ন থানায় কিছু শিক্ষার্থীরা আটক আছে বলেও জানা গেছে।

৪ আগস্ট বিকেলে সায়েন্স ল্যাব, জিগাতলা ও ধানমন্ডিতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গুজব রটানো হয় আওয়ামী লীগ অফিসে ৪ শিক্ষার্থীকে মারধর করে হত্যা, একজনের চোখ উপড়ানো এবং আরও চার ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ গুজব শুনে শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে তেড়ে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে এবং আন্দোলন চলাকালে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় পুলিশের ও আওয়ামী লীগের পক্ষে নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ১৯, ২০১৮)