ওএমএসের খাদ্যশস্য পাচারের ঘটনায় মামলা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি বা ওএমএস কার্যক্রমের খাদ্যশস্য পাচারের ঘটনায় তেজগাঁও কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামের (সিএসডি) ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি করা হয়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
মামলা ছাড়াও ২৩ আসামির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এর আগে গত শনিবার রাত থেকে রবিবার পর্যন্ত তেজগাঁও ও মোহাম্মদপুরে র্যাবের অভিযানে ২১৫ টন চাল ও আটা জব্দ করা হয়। এরপরই উঠে আসে পাচারকারীদের নাম।
মোহাম্মদপুর থানা সূত্র জানায়, মামলার এজাহারে তেজগাঁও সিএসডির চেকপোস্ট ইনচার্জ সুমন, প্রধান দারোয়ান হারেজ, দারোয়ান বাবুল, স্টক শাখার ইনচার্জ শুকুর আলী হালদার, গেট শাখার ইনচার্জ ইউনুছ আলী মণ্ডল, ডিও শাখার ইনচার্জ কাজী মাহমুদ, শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা আলমগীর সৈকত, সভাপতি দুদু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর, ঢাকার কদমতলীর মো. নজরুল ইসলাম ও পোস্তগোলার মো. জাকির হোসেনের নাম উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়াও চোরাই চাল বেচাকেনায় জড়িত মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের জামি রাইস এজেন্সির মো. ইকবাল হোসেন, ছালেক এজেন্সির মো. সালাউদ্দিন, এশিয়ান ট্রেডার্সের মো. মিসকাতুর রহমান, বন্ধু রাইস এজেন্সির মো. নজরুল ইসলাম, রাহমানিয়া রাইস এজেন্সির মো. বিল্লাল হোসেন, কর্ণফুলী রাইস এজেন্সির মো. গোলাম কিবরিয়া, সুগন্ধা ট্রেডিংয়ের মো. গোলাম মোস্তফা, মহানগর এন্টারপ্রাইজের মো. তৈয়বুর রহমান, এপি সুগন্ধার হাজী মো. হান্নান, জননী এন্টারপ্রাইজের মো. শাহ আলম ও সূর্য এন্টারপ্রাইজের মো. কবির হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮)