সাংবাদিক মোস্তাক হোসেনের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি মোস্তাক হোসনে ছিলেন একজন নির্লোভ সাংবাদিক। সরল স্বভাবের মানুষ হলেও পেশাগত কাজে এবং নেতৃত্বের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ। তার স্মরণে বৃহস্পতিবার ডিআরইউতে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
ডিআরইউর সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলী শুভর সঞ্চলনায় স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন ডিআরইর সাবেক সভাপতি শফিকুল করিম, মাহফুজুর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, জামাল উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, রাজু আহমেদ, মোরসালিন নোমানী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিআরইউর অর্থ সম্পাদক মানিক মুনতাসির প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অত্যন্ত ব্যথিত, কারণ আমরা মোস্তাক ভাইয়ের মতো সাহসী ও দক্ষ একজন সাংবাদিককে হারিয়েছি। মোস্তাক হোসেন অত্যন্ত নির্লোভ সাংবাদিক ছিলেন।
তিনি বলেন, মোস্তাক হোসেন আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। একদিন আমার পিআরও (জনসংযোগ কর্মকর্তা) জানান, মোস্তাক হোসেন গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি তাকে কিডনি হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করি। আমি তাকে বললাম, আপনি এতো অসুস্থ, কিছুই তো বললেন না। উত্তরে তিনি (মোস্তাক হোসেন) বললেন, ‘আমি তো ঠিকই আছি।’ তার ব্যক্তিগত কোনো চাহিদা ছিল না।
ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, মোস্তাক ভাই একদিনে মারা যাননি। তিনি ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছেন। তার সঙ্গে অনেকের ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি কেন গণস্বাস্থ্যের মতো হাসপাতালে পড়ে থাকবেন? আজ তার স্মরণসভা, কিন্তু কতজন মানুষ উপস্থিত হয়েছেন?
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ডিআরইউয়ের সদস্য সংখ্যা ১৮০০ এর মতো, ডিইউজেতে ৩২০০ মেম্বার আছে। কিন্তু মোস্তাক ভাইয়ের সঙ্গে কারও তুলনা করা যাবে না। তিনি সৎ, দক্ষ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিক ছিলেন।
ডিআরইউয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ বলেন, আমরা সবাই মোস্তাক ভাইয়ের নেতৃত্বগুণের কথা জানি। তিনি শুধু একজন দক্ষ নেতা ছিলেন না, তিনি সাংবাদিক হিসাবেও অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তার বিশ্লেষণমূলক লেখাগুলো অসাধারণ।
ডিআরইউয়ের উদ্যোগে মোস্তাক হোসেনের স্মরণে একটি স্মারক গ্রন্থ রচনা এবং তার নামে ডিআরইউয়ের একটি বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড চালু করার প্রস্তাব করেন সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন মোস্তাক হোসেন। তিনি দৈনিক ভোরের ডাকের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮)