দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : থানায় নিয়ে নির্যাতন করে জনিকে হত্যার অভিযোগে পল্লবী থানার তিন এসআই ও একজন পুলিশ সোর্সসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাতের আদালতে বুধবার জনির মা মোছা. খুরশিদা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

শুনানি শেষে আদালত পূর্বের পল্লবী থানার মামলার (মামলা নং ১৬ (২) ২০১৪)-এর সঙ্গে সংযুক্ত করে তদন্ত করার জন্য ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতাকে নির্দেশ দেন।

যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তারা হলেন, পল্লবী থানার এসআই আব্দুল বাতেল, এসআই সুব্রত কুমার সাহা, এসআই জাহিদ রহমান খান, পুলিশ সোর্স সুমনসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে মিরপুর ১১নং সেক্টরে সাদেকের ছেলের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশের সোর্স সুমন অনুষ্ঠানে মেয়েদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। এতে জনি ও তার ভাই সুমনকে বু্ঝিয়ে চলে যেতে বলে। সুমন সে দিনের মত চলে য়ায়। পরের দিন এসে আবার আগের মতো আচরণ করতে থাকে। তখন জনি ও তার ভাই তাকে চলে যেতে বললে সুমন পু্লিশকে ফোন করে তাদের ধরে নিয়ে য়ায়। তাদের নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন ধাওয়া করলে পুলিশ গুলি ছুড়তে ছুড়তে চলে যায়।

তাদের থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে। এতে জনির অবস্থা খারাপ হলে তাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার পর জনির মা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

এতে পুলিশ বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের (মামলা নং ১৬(২)২০১৪) করে। পল্লবী থানার ওই মামলায় পুলিশের নাম না থাকায় জনির মা আদালতে এসে তিন এসআই ও এক পুলিশ সোর্সসহ অজ্ঞাত নামা ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

(দ্য রিপোর্ট/জেএ/জেএম/সা/মার্চ ০৫, ২০১৪)