পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারালো ভারত
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ভারতের টার্গেট ১৬৩ রান। ২৯ ওভারে ২ উইকেটে সংগ্রহ করে ২৬৪ রান। অবলীলায় ভারত পৌঁছে জয়ের বন্দরে । শেষ ব্যাটসম্যান ধাওয়ান ৪৬ রানে ফিরে গেছেন। এর আগে ৫২ করেন রোহিত শর্মা। দিনেশ কার্তিক ও রাইডু জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন ভারতকে। তারা প্রত্যেকে ৩১ রান করে দলের জয়ে অবদান রাখে । খেলা তখনও অবশ্য বাকি ছিল ২১ ওভার মত।
বুধবার দুবাইতে প্রথমে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। যুক্তি উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। এমনকি ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও বলেন, টস জিতলে তিনি ব্যাটিংই নিতেন। কিন্তু টস জয়ের সুবিধাটা কাজে লাগাতে পারেনি পাকিস্তান। মাত্র ৪৩.১ ওভারে ১৬২ রানে অলআউট হয়ে গেছে তারা।
পাকিস্তান তাদের ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ভুবনেশ্বরের বলে উইকেটরক্ষক ধনীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার ইমাম উল হক। আগের ম্যাচে দারুণ এক অর্ধ শতক করেন তিনি। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে দলের এবং নিজের ২ রানের মাথায় এক প্রকার উইকেট বিলিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এরপরই নিজের শূন্য রানে ফিরে যান আরেক ওপেনার ফখর জামান। তার খেলা আগের সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে সেঞ্চুরি এবং একটি হাফ সেঞ্চুরি করেন ফখর। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে তিনি ৯ বল খেলে কোন রান না করেই ফিরে যান। পাকিস্তানের রান তখন ৩ ওভারে ২ উইকেটে ৩ রান। ইমাম উল এবং ফখরের আউটের পর ক্রিজে আসেন বাবর আজম এবং শোয়েব মালিক।
তাদের ব্যাটে পাকিস্তান বেশ সামনে এগোচ্ছিল। কিন্তু বাবর ফিরে যান নিজের ৪৭ রানে। দলীয় ৮৫ রানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর ক্রিজে আসেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। কিন্তু সেট ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিকের সঙ্গে জুটি গড়তে পারেননি তিনি। ফিরে যান নিজের ৬ রানে এবং দলের ৯৬ রানে।
এরপর মালিকও ৪৩ করে রান আউটে কাটা পড়েন। দলের রান তখন কেবল ১০০ পূর্ণ হয়েছে। উইকেট নেই ৫টি। সরফরাজের পর ক্রিজে আসা আসিফ আলীও দলকে ভরসা দিতে পারেননি। তিনি ফিরে গেলে ২৮.১ ওভারে ১০৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।
এরপর ১৬২ রান তোলাই পাকিস্তানের জন্য অনেক বলতে হবে। শেষ দিকে ফাহিম আশরাফ ৪৪ বলে ২১ এবং মোহাম্মদ আমির ২৬ বলে ১৮ রান করলে ১৬২ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। ভারতের হয়ে ৭ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। এছাড়া কেদার যাদব ৯ ওভারে ২৩ রানে পান ৩ উইকেট। বুমরাহ দুটি এবং কুলদীপ যাদব একটি উইকেট পান।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/সেপ্টেম্বর ১৯,২০১৮)