দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : শহরাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে আরও ১১ কোটি ডলার বা প্রায় ৯২১ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় নেওয়া নেওয়া একটি প্রকল্পের জন্য বাড়তি এই ঋণ অনুমোদন করেছে।

বুধবার এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এডিবির সামাজিক খাত বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান চিন বলেন, ২০১২ সালে অনুমোদিত সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত ‘আরবান প্রাইমারি হেলথকেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি’ নামের এ প্রকল্পে এডিবির সহায়তা বিশেষ করে দরিদ্র খানাগুলোর মধ্যে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যর সুযোগ বাড়ানোর ফলে শূন্যস্থান পূরণ হচ্ছে।

তিনি বলেন, নতুন এই অর্থায়ন সেবাপ্রদানের ব্যবস্থাকে জোরদার করবে; ২০১২ সালের প্রকল্প ও বাকি দুটি প্রকল্পের ভিত শক্ত করবে। অপূরণীয় চাহিদা পূরণ করে এই ব্যবস্থা পারিচালনায় স্বনির্ভরতা আসবে।

‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি’ শীর্ষক ২০১২ সালে নেওয়া এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় এর মধ্যেই একনেকে অনুমোদন পেয়েছে। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ২৪০ কোটি টাকা এবং এডিবির ঋণ থেকে ৮৯৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সম্ভব হবে। পাশাপাশি মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য সম্পর্কিত অপরিহার্য সেবা প্যাকেজের মাধ্যমে দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাবে।

চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ১১টি সিটি কর্পোরেশন ও ১৪টি পৌরসভার জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র জনেগোষ্ঠী নারী ও শিশু অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নত স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ পাবে।

বাংলাদেশে দ্রুত নগরায়ণের ফলে শহরবাসী মানুষের স্বাস্থ্যসেবার বর্ধিত চাহিদার তুলনায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়া কাঠামো দুর্বল ও অপ্রতুল।

সরকারের উদ্যোগে দেশের গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা সেবার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক থাকলেও শহরে স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক ও কার্যক্রমের অপর্যাপ্ততা। এ অপ্রতুলতার নেতিবাচক প্রভাবে শহরবাসী বিশেষত দরিদ্র মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই অর্থ পাওয়া গেলে দেশের শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্য খাতের সেবার আওতা বাড়বে।


(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/সেপ্টেম্বর ১৯,২০১৮)