দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিসহ সকল নিয়োগে ৫ শতাংশ আদিবাসী কোটা বহাল রাখার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ।

বৃহস্পতিবার বিকালে ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিক্ষোভ সমাবেশটি বিকাল ৩টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশি বাধার কারণে সেটি পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হলাচন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, ‘বাংলাদেশে আদিবাসীরা এখনও অনগ্রসর। সংবিধানে তাদের জন্য ৫ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু এখন সেই কোটা বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে। কিন্তু তা এখনও করা হয়নি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখে বলছি, তিনি যে বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলেছেন, সেটা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়৷’

আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুমিতা রবিদাস বলেন, ‘মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেছেন যে এখন নাকি বাংলাদেশে অনগ্রসর কোনো জনগোষ্ঠী নেই৷ তিনি আদিবাসীদের কথা বিবেচনা না করে ঢালাওভাবে এই কথা বলেছেন। আমরা তার এই কথার তীব্র নিন্দা জানাই। আদিবাসীদের এখনও এমন কোনো অবস্থান তৈরি হয়নি যাতে তাদের কোটার বাইরে রাখা যায়৷ আদিবাসীরা এখনও অনগ্রসর। তাদের জন্য এখনও কোটা দরকার। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাই, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক অধিকার যেন লঙ্ঘিত না হয়।’

এই দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সাথে তিনি অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথাও বলেছেন৷ কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না৷ আমরা অনগ্রসর সব জনগোষ্ঠীর অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখার দাবি জানাই৷’

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/সেপ্টেম্বর ২১,২০১৮)