দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : পুঁজিটা বেশি ছিল না, মাত্র ২৩৯। এ নিয়ে জিততে হলে বোলিং, ফিল্ডিংয়ে অবর্ণনীয় কিছু করে দেখাতে হতো বাংলাদেশকে। দারুণভাবে সেই চ্যালেঞ্জ উতরে গেছে টাইগাররা। অঘোষিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে গেছে তারা।

দুর্দান্ত এ জয়ে রোমাঞ্চিত বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ম্যাচ জেতার কৃতিত্ব বোলারদের দিলেন তিনি।

পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংস ধসিয়ে দিতে একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। ভালো বোলিং করেছেন মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ, রুবেল সবাই। এমনকি সৌম্য সরকারও পেয়ে গেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে দাঁড়িয়ে বোলারদের কৃতিত্ব দিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমরা আজ কিছুটা ভিন্ন কৌশল খাটিয়েছি। সাধারণত আমি বল শুরু করি, কিন্তু আজ আমরা মিরাজকে দিয়ে শুরু করেছি। বোলাররা দারুণ বল করেছে।’

তবে ৯৯ রান করে দলকে বিপদ থেকে টেনে তোলার জন্য মুশফিক ও ৬০ রান করে বড় ভূমিকা রাখা মোহাম্মদ মিথুনের কথা বলতেও ভোলেননি মাশরাফি, ‘মুশফিক আর মিথুন সত্যি দারুণ ব্যাটিং করেছে।‘

আর ম্যাচে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের কথা বলতেও ভুললেন না অধিনায়ক। মাশরাফি নিজেই ‘সুপারম্যান’র মতো ডাইভ দিয়ে অসাধারণ ক্যাচ ধরেছেন শোয়েব মালিকের। রুবেল হোসেনও লাফিয়ে উঠে ক্যাচ নিয়েছেন। মাঠে ফিল্ডারদের দারুণ ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ফিল্ডিং নিয়ে আমরা আজ গর্ব করতে পারি। অনেকদিন ধরেই এমন ভালো ফিল্ডিং দেখিনি। তাই আশা করি ছেলেরা ভালো ফিল্ডিংয়ের গুরুত্ব বুঝতে পারবে। আমাদের ব্যাটিং আর বোলিংয়ে কিছুটা উন্নতি করতে হবে। আমি ভাগ্যবান যে আমি ক্যাচটা মিস করিনি, কারণ শোয়েব মালিক দারুণ ফর্মে ছিল, কিন্তু সবমিলিয়ে ফিল্ডিং দুর্দান্তই হয়েছে।‘

ফাইনালে শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শক্তিশালী ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের চলতি আসরে একটাও ম্যাচ হারেনি দলটি। বাংলাদেশকেও সুপার ফোরের ম্যাচে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছে রোহিত শর্মার বাহিনী। এদিকে দলে নেই সাকিব-তামিম। অধিনায়ক মাশরাফিও তা স্বীকার করে নিলেন। তবে সঙ্গে ভালো করার প্রত্যয়ও উচ্চারণ হলো তার কণ্ঠে, ‘আমরা ভালো করেই জানি ভারত অনেক সিরিয়াস দল। আমাদের সাকিব এবং তামিম নেই। কিন্তু আমি আশা করি শুক্রবার ছেলেরা তাদের নিজেদের আসল সামর্থ্য দেখাবে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮)