ম্যাচ সেরা মুশফিক
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। সেখান থেকে মোহাম্মদ মিথুনকে নিয়ে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মুশফিকুর রহিম। গড়েন ১৪৪ রানের মহামূল্যবান জুটি। ৬০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে মিথুন ফিরলেও থেকে যান মুশফিক। শেষঅবধি ১ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন তিনি। ব্যক্তিগত ৯৯ রান (নার্ভাস নাইনটিজ) করে সাজঘরে ফেরেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
ততক্ষণে লড়াকু পুঁজির ভিত পেয়ে যায় টাইগারা। শেষ পর্যন্ত ২৩৯ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা। পরে বোলার-ফিল্ডাররা দুর্দান্ত করেন। ফলে এ অল্প পুঁজি নিয়েই অঘোষিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে মুশফিকের হাতে।
পুরস্কার নিয়ে তিনি বলেন, নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মিথুনও দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। শুরুতেই কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তাকে বলেছিলাম, ক্রিজে আমাদের থাকতে হবে। কিভাবে যেকোনো পরিস্থিতিতে ব্যাট করা যায় তা নিয়ে অনুশীলন করেছি। ভালো প্রস্তুতি ছিল। সেটা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি।
আসছে ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনালি লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই মহারণে দুই স্তম্ভ তামিম-সাকিবকে পাচ্ছে না টাইগাররা। এর মাঝে আবার শংকা দেখা দিয়েছে মুশফিকের ইনজুরি। এ কারণে শেষদিকে মাঠে ছিলেন না তিনি। কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর প্রত্যাশা, সেই ম্যাচে খেলুন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮)