দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি নিরসনে প্যারিস চুক্তি মেনে চলতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্যারিস চুক্তি মেনে চলার মাধ্যমে জলবায়ু অর্থায়নের ওপর আলোচনায় গুরুত্ব দিতে এই বছরের শেষের দিকে পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য সিওপি-২৪ এর সুযোগ কাজে লাগাতে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। খবর- বাসসের।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত প্যারিস চুক্তি সিওপি-২৪ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সদস্যদের উচ্চ পযার্য়ের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিসেম্বরে পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য সিওপি-২৪ এর আগে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ।

এই আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে সৃষ্ট সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা প্রয়োজন এবং কৃষি, জনস্বাস্থ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো ক্ষেত্রে প্রযুক্তি উন্নয়ন ও হস্তান্তর প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। আমাদের দেশে প্রায় ১৬ কোটি লোক জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।’

সরকারের নেওয়া স্বল্প কার্বন কর্মসূচির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করেছে। গরিব লোকদের মধ্যে ২০ লাখ উন্নত মানের রান্নার চুলা বিতরণ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার জলবায়ু জনিত সমস্যা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি কমিয়ে আনতে তা জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় জিডিপির ১ শতাংশ এই খাতে বরাদ্দ দিয়েছে।’

এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার কৃষিক্ষেত্রে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জলবায়ু জনিত পরিস্থিতি সহিঞ্চু বিভিন্ন ধরনের শস্য উদ্ভাবন করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ অত্যন্ত সাহসী। তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে বেঁচে আছে।’

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বশীল সদস্য দেশ হিসেবে বাংলঅদেশ মাথা উঁচু করে রাখবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ মাথা পিচু আয়ের ক্ষেত্রে কখনোই উন্নয়নশীল দেশের পেছনে থাকবে না। আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে- কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা, জলবায়ু পরিস্থিতির উন্নতি করা এবং উন্নতমানের শিল্পায়ন গড়ে তোলা।’

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮)