দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম চলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি দায়ের করেন তার আইনজীবী কায়সার কামাল।

কায়সার কামাল জানান, শিগগিরই আবেদনটি হাইকোর্টে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে চলবে বলে আদেশ দেন। ওই আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না—এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে আবেদনে। এতে দুদক ও রাষ্ট্রকে বিবাদী করা হয়েছে।

কায়সার কামাল বলেন, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অনেক অসুস্থ। অসুস্থতার কারণ এবং অবাঞ্চিত একটি কারাগারে আদালত স্থাপন করায় এ আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর‌্যন্ত মামলার কার‌্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ফৌজদারি আইন অনুযায়ী কোনও অসুস্থ ব্যক্তিকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে না। সুস্থতার বিষয়টি সবার আগে দেখা উচিত। এটি সাংবিধানিক অধিকার।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটি এর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। এরপর থেকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮)